আপনি যদি জার্মানির বার্লিনে বসবাস করার চিন্তা করে থাকেন তাহলে সর্বপ্রথম যা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে ইনকাম ট্যাক্স। এর মুল কারন হচ্ছে ইউরোপের অন্যান্য দেশ গুলো থেকে জার্মানিতে ট্যাক্সের মাত্রা একটু বেশীই বলা যায়। আমি আমার এই লেখায় বার্লিনকেই বেশী টেনে নিয়ে আসবো এর কারন হচ্ছে মানুষ সাধারনত মেগা সিটি গুলোতেই বসবাস করতে বেশী আগ্রহি। আর সবারই জানার কথা বার্লিন হচ্ছে জার্মানির রাজধানী অথবা প্রধান শহর।
এখন আসি বার্লিনে জীবন যাত্রার মান এবং থাকার খরচে । প্রথমেই বলেছি ট্যাক্স বেশী কিন্তু জীবন যাত্রার বেলায় কিন্তু জার্মানির চিত্র পুরোপুরি উলটো। আপনি যদি লন্ডনের সাথে বার্লিনের তুলোনা করেন তাহলে দেখবেন জীবন ব্যবস্থা এখানে অনেক উন্নত এবং সস্তা। যেমন ধরুন :
বাসা ভাড়া – যেই দুই কাম্রার বাসা আপ্নাকে লন্ডনে দিতে হচ্ছে ৮০০ পাউন্ড তা আপনাকে বার্লিনে দিতে হবে ৭০০ ইউরো ।
কর্মসংস্থান – বার্লিনে কাজ পাবার সুযোগ অনেক বেশি । এর কারন হচ্ছে ব্রেক্সিটের পর বার্লিনে অনেক নতুন নতুন স্টার্ট আপ কোম্পানি গড়ে উঠছে । সমস্যা এক্টাই জার্মান ভাষা কিন্তু আপনাকে অবশ্যই শিখতে হবে।
যাতায়াত ব্যবস্থা – ইউরোপের সকল শহর গুলোতেই যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক ভালো কিন্তু বার্লিনে একটু বেশিই ভালো আর তুলনামুলক ভাবে সস্তা। পিক আওয়ার গুলোতে প্রতি পাঁচ মিনিতেই পাবেন ট্রাম , পাটাল ট্রাম অথবা বাস। আর সারা মাস এই পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট গুলো ব্যবহার করতে আপনাকে গুন্তে হবে মাত্র ৬৩ ইউরো।
ইন্টারনেট এবং মোবাইল – এই যুগে ইন্টারনেট ছাড়া চলা প্রায় অসম্ভব বলা যায়। শুধু ঘরে নয় বাহিরেও চাই সারাক্ষন ইন্টারনেট । বাসার ব্রডব্যান্ড ২০ ইউরো আর সারামাস ২ গিবি ইন্টারনেট এবং জার্মানির যেকোন নাম্বারে কল ফ্রি ১০ ইউরোতে ।
আপনি যদি কাজে যাবার পথের কফি থেকে শুরু করে দুপুরের খাবারের দাম পরোখ করে দেখেন তাতেও কিন্তু অনেক ইউরোপিয়ান শহর থেকে বার্লিন তুলনামূলক সস্তা। বার্লিনে কফি পাবেন ১.৮০ইউরোতে আর লাঞ্ছ ৮ ইউরোতে ।
ও আরেকটা কথা কোয়ালিটি লিভিং রেঙ্কিয়ে বার্লিন কিন্তু ১৩ নম্বরে আছে ।
আমি শুধুমাত্র বার্লিনে বসবাসের উপরে একটা রাফ ধারনা দেয়ার চেস্টা করেছি । যদি আপ্নাদের কারো নির্দিষ্ট কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট করে জানাবেন ,আমি যথাসাধ্য উত্তর দেবার চেষ্টা করব। আর আমার লেখা ভালো লাগ্লে লাইক এবং শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন আপনার বন্ধু মহলে।
আর নতুন কোন লেখা চাইলে ইমেইল করুন জার্মান বাংলায়। ইমেইল : [email protected]
লেখক : আসিফ ইকবাল ভুইয়া