প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তার নিরাপত্তার জন্য গৃহীত ব্যবস্থা যেন জনগণের সঙ্গে কোনো দূরত্বের সৃষ্টি না করে। এ বিষয়ে এসএসএফ সদস্যদের খেয়াল রাখতে হবে।’

বাসস জানায়, আজ বৃহস্পতিবার এসএসএফের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে এসএসএফ। ১৯৮৬ সালে গঠিত হয় এই এলিট ফোর্স ।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কৌশল পরিবর্তন হচ্ছে দিন দিন। বিষয়টি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই জঙ্গিবাদকে কঠোর হাতে দমন করেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের এই অবস্থান অব্যাহত থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,‘ জনগণের জন্য কাজ করাই আমাদের রাজনীতি। কিন্তু রাজনীতিতে ঝুঁকি রয়েছে। বার বার আমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। হত্যার চেষ্টা হয়েছে। এ অবস্থায় নিরাপত্তা জরুরি।’

তবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে তাকে যেন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা না হয় সে দিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি। জনগণ আমাদের মূলশক্তি। খেয়াল রাখতে হবে জনগণ থেকে যেনো বিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় এসএসএফ’র সকল সদস্যদের দক্ষতা, নিষ্ঠা, কর্তব্যপরায়নতা ও আনুগত্যের প্রশংসা করেন।

এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মোহাম্মদ আমান হাসান বলেন,‘ প্রধানমন্ত্রীকে জনগণের কাছাকাছি রাখা এবং তার নিরাপত্তা বলয় নিশ্চিত করা এই দুইয়ের সমন্বয় একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসএসএফ তা আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে।’

অন্যদের মধ্যে তিন বাহিনী প্রধানগণ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, আনসার বাহিনীর প্রধান, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।