ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের পাঁচ দিন পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন।

সোমবার বিকাল ৫টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক ঘণ্টারও বেশি তাদের মধ্যে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকের পর ইইউ রাষ্ট্রদূত কিংবা বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু বলা হয়নি।

তবে বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন নিয়েই মূলত আলোচনা হয়।

তিনি জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তার কাছে তুলে ধরা হয়। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার না হলে আগামীতে ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে পারে- দলের এমন আশংকার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।

‘আরও বলা হয়, নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনে বিএনপি বারবার সংলাপের আহ্বানসহ জানালেও সরকার তাতে সাড়া দিচ্ছে না। কিন্ত সংকট নিরসনে আলোচনার বিকল্প নেই’ যোগ করেন ওই নেতা।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি দ্রুত একটি প্রস্তাব দেবে বলেও মায়াদুনকে জানান খালেদা জিয়া।

ওই নেতা আরও বলেন, বিএনপির অবস্থানের প্রতি একমত পোষণ করেন মায়াদুন। রাষ্ট্রদূত জানান, তাদেরও প্রত্যাশা বাংলাদেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হোক। আগামী নির্বাচন যাতে সবদলের অংশগ্রহণে হয় সেরকম একটি পরিবেশ তৈরি হবে বলে মনে করেন তিনি।

রাজনৈতক বিষয় ছাড়াও দেশের মানবধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান উপস্থিত ছিলেন।