তবে কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে গ্রিসের? আমেনটাই আভাস মিললো ফরাসী রাষ্ট্রপ্রধান ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের কথা থেকে। তিনি বলেছেন, গ্রিসের সদস্যপদ বহাল রাখার জন্যে সময়টা ভারি স্বল্প। তবে সম্ভাব্যতা কোন দিকে ঝুঁকবে তার পাল্লা গ্রিসের হাতে বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি।

আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে এক রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ জানান, ফ্রান্সের অবস্থানে এমন নয় যে গ্রিসের দায়মুক্তির অঙ্কে কোনো ছাড় দেয়া বা সরকারী কর্মচারীদের পেনসনে কোনো সহায়তা করা সম্ভব, বরং বিকল্প কোনো পদ্ধতি আহ্বানেই তাদের অবস্থান সীমিত। মোট কথা ইইউ’র চাই কাজে অগ্রগতি। গ্রিসের ইউরোজোনে থাকতে হলে সবকিছুকেই একটা নিয়মতান্ত্রিকতার ভেতর দিয়ে এগোতে হবে।

রোববার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে মঞ্চায়িত হলো আরও একটি ব্যর্থ নাটক। যেখানে গ্রিস ও ইউরোজোনের নেতারা সমাধানহীনভাবে বৈঠক শেষ করেন এবং গ্রিসের অর্থ সংক্রান্ত দায় অপরিবর্তিত থাকে। আসছে বৃহস্পতিবার ১৮ জুন, ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা আবারও গ্রিসের সঙ্গে বসেছে। কিন্তু গ্রিসের অর্থমন্ত্রী জেনিস ভারোফাকিস বলেছেন, সেদিনও নতুন কোনো প্রস্তাবনা আনার কোনো সম্ভাবনা গ্রিসের নেই।

সম্প্রতি গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ গ্রিসের হয়ে আক্ষেপ করে বলেছেন, এজন্যে তো ইউরোপীয় ইউনিয়ন সৃষ্টি হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ২৮টি দেশের মধ্যে এখনও অন্যতম গ্রিস। তবে ঋণ পরিশোধ ইস্যুতে খুব বেশি দ্বৈরথ বজায় থাকলে হয়ত রশি ছিড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ছিটকে পড়তে পারে গ্রিস, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ।