অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৪০ মিনিটে বেলমোরের ক্যান্টারবুরি এলাকায় ওই দুর্ঘটনায় আরও এক বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়েছেন।
হতাহত সবার বয়স ২০ এর ঘরে এবং তারা শিক্ষার্থী বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে। তবে তাদের কারও নাম বা বাংলাদেশে তার ঠিকানা জানানো হয়নি।
আহত ওই তরুণকে সেইন্ট জর্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে এবিসি নিউজের খবর।
পত্রিকাটি লিখেছে, দ্রুতগতিতে থাকা একটি গাড়ি প্রচণ্ড জোরে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ওই সময় আরও দুটি গাড়ি ওই পথে একইরকম গতিতে চলছিল।
ট্রাফিক অ্যান্ড হাইওয়ে বিভাগের সুপার স্টুয়ার্ট স্মিথ বলেন, মূলত গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই তিনটি গাড়ি গতির প্রতিযোগিতায় নেমেছিল কি না, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও দেখে তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে স্মিথ জানান।
“আমরা ঘটনাস্থলে থাকা অন্যান্য গাড়িগুলোও পরীক্ষা করে দেখছি। এটি সত্যিই কার রেসিংয়ের কারণে হয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অস্ট্রেলিয়ার ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, তিনটি গাড়ির মধ্যে একটি টয়োটা ও একটি নিশান গাড়িবে পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজে পাশাপাশি চলতে দেখা যায়। এর মধ্যে টয়োটা গাড়িটি হঠাৎ বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। পাশের নিশান গাড়িটিও প্রায় একই সময়ে দুর্ঘটনায় পড়ে।
টয়োটা অরিয়ন মডেলের আরেকটি গাড়িকে ওই সময় দ্রুত গতিতে চলতে দেখা যায় বলে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকার বাসিন্দারাও গাড়ির চাকার ‘স্কিড করার’ শব্দ শুনেছিলেন বলে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
“প্রায় ১০ মিটার রাস্তা গাড়িটি স্কিড করেছিল, তারপরই ধপ করে শব্দ হয়।”
দুর্ঘটনায় পড়া টয়োটা গাড়ির তিন আরোহীর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যজনের মৃত্যু হয় সেইন্ট জর্জ হাসপাতালে নেওয়ার পর।
দুর্ঘটনার পরপরই ব্যস্ত ওই সড়ক কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলে শহরজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয় বলে নাইন নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
নর্থ সাউথ ওয়েলস পুলিশের দুর্ঘটনা তদন্ত বিভাগ বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে।