অবশেষে চূড়ান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে শুরু হওয়া জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপের ষষ্ঠ বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
রাত আটটা পর্যন্ত এ বৈঠক চলবে। বছর পনেরো আগে ২০০০ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের এ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়। এর পর দুই দেশের সীমানা নিয়ে বিস্তর কাজ করে গ্রুপ।
তাদের কাজের ফলাফল স্বরূপ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই দেশের মানচিত্রে চূড়ান্ত সিলমহর লাগতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে দু’দেশের মধ্যে যে স্থল সীমান্ত চুক্তি চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে, শুধু ছিটমহল বিনিময়ই তার একমাত্র লক্ষ্য নয়, সীমান্তের সোয়া ছয় কিলোমিটারের মতো যে অংশটি অচিহ্নিত(আনডিমার্কেটেড) সেটিকে চিহ্নিত করা এবং দুদেশের অপদখলীয় জমিগুলোর মীমাংসা করাও ছিল এই চুক্তির অংশ।
ছিটমহলে জরিপের পাশাপাশি সীমান্ত নিয়ে বাকি কাজ শেষ করতেই এ বৈঠক। গত পনের বছর ধরে দুই দেশে বিশেষজ্ঞরা যে মানচিত্র এঁকেছেন তা দুই দেশেই মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র। এ মানচিত্রের ফলে অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে সীমানা নিয়ে আর কোন সংকট সুষ্টি হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।