প্রায় ৫০০ বাংলাদেশিকে ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জার্মান সরকার। বৈধতার আইনি লড়াইয়ে তারা হেরে গেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের মধ্যেই তাদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় বার্লিন। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। প্রতিনিয়ত বিষয়টি নিয়ে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে জার্মানি। ঢাকার তরফে অবশ্য তাদের গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানো হয়নি। তবে তালিকাভুক্তদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় চাওয়া হয়েছে। একাধিক কূটনৈতিক সূত্রে এই তথ্য মিলেছে। সূত্র মতে, অবৈধ অভিবাসী প্রশ্নে জার্মানিসহ ইইউভুক্ত দেশগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে সরব। ওই জোটে থাকা ২৮ রাষ্ট্রের প্রত্যেকে একক এবং জোটগতভাবে অবৈধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। জার্মানিতে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশির বৈধতার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বিধায় তাদের অবিলম্বে ওই ভূখণ্ড ছাড়তে হবে জানিয়ে বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি কূটনৈতিক পত্র পাঠিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। গত মাসে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আলী সরকার বরাবর পাঠানো ওই পত্রে উল্লিখিত অবৈধ বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া দ্রুততর করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গত ২৫শে এপ্রিল বার্লিনে স্টেট সেক্রেটারি লেভেল বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে এ সংবাদকে ইউরোপে বসবাসরত বাংলাদেশীদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক সংবাদ বলে উল্লেখ করে আগামী ২৭শে জুন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের সাথে সাক্ষাত করবে ইউরোপের বৃহৎ সংগঠন ইউরোপিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশী এসোসিয়েশন ইপিবা। ইপিবা নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন সকল প্রকার আইনি পক্রিয়া গ্রহণ করে ৫০০ বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত ঠেকাতে প্রানপন চেষ্ঠা করবে ইপিবা।