বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ভারত আমদের বন্ধু রাষ্ট্র। নির্বাচনে আমরা তাদের সহযোগিতা চাই। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে যেভাবে ভারত-ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এদেশে এসে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য সহযোগিতা করেছিল। এই ধরণের সহযোগিতা আমরা চাই না। আমরা চাই এদেশের জনগণ তাদের ইচ্ছেমত ভোট দিবে, যাকে ইচ্ছে তাকে দিবে। সেই ধরনের সিস্টেমের জন্য যদি আপনারা সহযোগিতা করতে চান তবে আমরা স্বাগত জানাই। আর যদি কোনো একটি দলকে সহযোগিতা করে গায়ের জোরে আবার ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করেন তাহলে এদেশের জনগণ সেটা গ্রহণ করবে না। জনগণ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের মৃত্যুতে শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আলোচনার জন্য রাজি আছি কিন্তু নির্বাচনকে লেবেল প্লেয়িং করতে হলে নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে। শেখ হাসিনার সরকারে অধীনে ২০১৪ সালেও নির্বাচন হয়নি, এবারও হবে না। আপনি (সিইসি) যতই আইন সংস্কার করেন, যতই ভালো-ভালো কথা বলেন, প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন পরিচালিত হয় সরকারের কর্মকর্তাদের দিয়ে। সরকার থাকবে আওয়ামী লীগের আর কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ হবে এটা কোনো দিন সম্ভব নয়।
নির্বাচন পদ্ধতিতে ইভিএম নিয়ে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইভিএম ভুলে যান। ইভিএম নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। নির্বাচনে ইভিএম চায় না বিএনপি। ইভিএম পদ্ধতিকে অনেক দেশই বাতিল ঘোষণা করেছে। এই পদ্ধতিতে অন্য জায়গা থেকে ভোট নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপ রেখা নিয়ে তিনি বলেন, রোজার পরেই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দিবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রূপরেখা দিলে আওয়ামী লীগ সেটি গ্রহণ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে। না দিলে আন্দোলন করেও এদেশে নির্বাচন হয়েছে। জনগণ আর আপনাদের (আওয়ামী লীগ) প্রতারণার শিকার হবে না।