ক্রমেই জাকিয়ে বসতে থাকা টি-টোয়েন্টির যুগেও তিনি বিশুদ্ধ ক্রিকেটের অনুরাগী। সেই সঙ্গে ক্রিকেটে অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর অর্জুনা রানাতুঙ্গা এবার সোচ্চার ম্যাচ পাতানোর তদন্ত নিয়ে। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়কের অভিযোগ ১৫ বছর পরের আরেকটি বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে। ২০১১ সালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত যে ফাইনালে তাঁর দেশ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। সেই ফাইনালই পাতানো ছিল অভিযোগ করে এই সাবেক অধিনায়ক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৫৩ বছর বয়সী রানাতুঙ্গা গতকাল এ দাবি জানিয়েছেন নিজের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে। তাতে আপলোড করা এক ভিডিওতেই অভিযোগ করেছেন ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ছিল পাতানো। ওই ফাইনালে কুমার সাঙ্গাকারার নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের মাঠে বিশ্বজয়ের আনন্দে মেতেছিলেন ধোনিরা। অবশেষে শচীন টেন্ডুলকারের হাতে একটি বিশ্বকাপ তুলে দিতে পারাও যে আনন্দের মাত্রা বাড়িয়েছিল বহুগুণ। কিন্তু রানাতুঙ্গার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই সাফল্যের গায়েও যেন ‘কালি’ লেগে গেল কিছুটা। ওই ফাইনালে আগে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরই দাঁড় করিয়েছিল। এরপর শচীন টেন্ডুলকারকে ১৮ রানেই বিদায় করে রান তাড়ায় ভারতকে বিপাকেই শুধু ফেলেনি, নিজেরাও বসতে চলেছিল চালকের আসনে। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। যদিও সেই ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা দলের বাজে বোলিং এবং ফিল্ডিংয়েরও ভূমিকা ছিল। তা নিয়ে যে কানাঘুষা ছিল না, এমন নয়। তবে রানাতুঙ্গার মতো প্রকাশ্যে অভিযোগ এর আগে করেননি কেউই, ‘ধারাভাষ্য দিতে ওই সময় আমিও ভারতেই ছিলাম। ফাইনালে আমাদের হারটা খুবই বেদনাদায়ক ছিল। একই সঙ্গে আমার মনে সন্দেহও ছিল। ওই ফাইনালে শ্রীলঙ্কা দলের কী হয়েছিল, তা অবশ্যই আমাদের তদন্ত করে দেখা উচিত। ’ সেই সঙ্গে এও বলেছেন, ‘আমি এখনই সবকিছু প্রকাশ করছি না তবে একদিন নিশ্চয়ই করব। ’