রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে ফ্রান্স বিশ্বের প্রথম সারির একটি দেশ। ফ্রান্সে প্রতিবছর বিশ হাজারের মতো লোককে বিভিন্ন কারনে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে থাকে। বিশ্ব জুড়ে অশান্তি ও সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারনে প্রতিবছরই বাস্তুচ্যুত লোকের সংখ্যা বাড়ছে। ফ্রান্স সহ উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এসব বাস্তহারা নাগরিকদের আশ্রয় দিচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বে স্বাধীন দেশের সংখ্যা দুইশো ছাড়িয়ে গেলেও ১৬ টি দেশের নাগরিকরা ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে পারে না। ফ্রান্সের প্রশাসনিক ভাষায় এ দেশগুলিকে নিরাপদ দেশ বলা হয়।
নিরাপদ দেশের তালিকায় যে সব দেশ রয়েছে দেগুলো হলো: আলবেনিয়া প্রজাতন্ত্র, আর্মেনিয়া প্রজাতন্ত্র, বেনিন প্রজাতন্ত্র, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, কেপভার্দে প্রজাতন্ত্র, জর্জিয়া, ঘানা প্রজাতন্ত্র, ভারত, মেসিডোনিয়া, মরিশাস, মলদাভিয়া, মঙ্গোলিয়া, মন্টেনিগ্রো, সেনেগাল, সার্বিয়া এবং কসোভো।
নিরাপদ রাষ্ট্র বিষয়ক ধারার ৩৭ অনুচ্ছেদে ২৬ জুন ২০১৩ এ দেশগুলিকে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ৯ অক্টোবর ২০১৫ সালে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশকে নিরাপদ রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপদ রাষ্ট্র তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেয়া হয় ২০১৩ সালে।
প্রসঙ্গত, ভারত নিরাপদ রাষ্ট্রের তালিকায় থাকায় অনেক অসাধু বাংলাদেশীদের সহায়তায় ফ্রান্সস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের মাধ্যমে ভারতীয়দের বাংলাদেশী নাগরিকত্বের প্রমাণ স্বরুপ পাসপোর্ট দেয়ার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশী ভারতীয়দের বাংলাদেশী নাগরিকত্বের প্রমান হিসেবে জন্মনিবন্ধন দেয়ার ফলে ভারতীয়রা বাংলাদেশী হিসেবে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করে থাকে।