প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কড়া হুঁশিয়ারি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের কী অবস্থা হবে তারা জানে। এ জন্য তারা নির্বাচন দিতে চায় না। তারা ক্ষমতা থেকে চলে গেলে তাদের অবস্থা মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ হবে। তাদের আর অস্তিত্ব থাকবে না।’

রাতে গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে নোয়াখালী জেলা আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।

বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘ছাত্রলীগ আজকে দানবে পরিণত হয়েছে। ছাত্রলীগ হয়েছে দৈত্য। ছাত্রলীগ আর পুলিশ সব কিছু লুটপাট করে খাচ্ছে। পুলিশ আজকে দেশ পরিচালনা করছে। দেশ শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে নেই। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করছে দেশ। দেখেন না তারা বলে- তারাই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। পুলিশ ও ছাত্রলীগ দিয়ে বিএনপির ধ্বংসের চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না। বিএনপি এসেছে জনগণের সমর্থনে। বরং আওয়ামী লীগ এসেছে মইন উদ্দিন ফখরুদ্দিনের দয়ায়।’

বিএনপি প্রধান বলেন, ‘কী যেন আছে না, ওই যে, আনসারুল্লাহ রহমাতুল্লাহ এগুলো তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। আনসারুল্লাহ রহমাতুল্লাহ আওয়ামী লীগেরই তৈরি। তারা বিদেশিদের সমর্থন নেয়ার জন্য, বিদেশিদের দেখানোর জন্য তারা জঙ্গির উত্থান ঘটিয়েছে। এই শায়খ আব্দুর রহমান কে? তাদের নেতাদের আত্মীয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গেই জঙ্গিদের আত্মীয়তা।’

তিনি বলেন, ‘হাসিনা শুধু স্বৈরাচারীই নয়, সে খুনী, খুনের সঙ্গে সরাসরি তার ইন্ধন রয়েছে। সকল হত্যায় ইন্ধন রয়েছে।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘ফেয়ার নির্বাচন হলে তাদের কী হবে তারা তা জানে। তারা ক্ষমতা হারালে তাদের অবস্থা মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ হবে। তাদের অস্তিত্ব থাকবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার ফিরে আসবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সংসদে কীসের বাজেট হয়? তারা কিসের বাজেট দেয়? বিএনপি সংসদে থাক বা না থাকা তাদের গালাগাল করতে হবে। রওশন, এরশাদ যারা আছে তারা তো ওদেরই লোক। তাদের তো গালাগালি করতে পারে না। তাই বিএনপিকে গালমন্দ করতে থাকে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরে আসবে। সেদিন বেশি দূরে নয়। বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। গণতন্ত্র ফিরে আসবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবেই হবে। এবং তা হবে ইনশাআল্লাহ।’

তিনি আরো বলেন, ‘জেল জলুম আর গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিএনপিকে ধ্বংসের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি শক্তিশালী আছে। শক্তিশালী থাকবে। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে। বিএনপিতে বিভেদ নেই। আওয়ামী লীগ তাদের বিভেদ বিএনপিতে ছড়িয়ে দিতে চায়। বিএনপি এখন সময়ের অপেক্ষায় আছে।’