পৃথিবীতেই যে শুধু ভালোবাসার প্রতীক হৃদয়ের ছাপ মেলে এমন নয়। সুদূর প্লুটুতেও মিললো হৃদয়ের খোঁজ। পৃথিবীতে থেকে ৭৫০ কোটি কিলোমিটার দূরে ভালোবাসার এই প্রতীক দেখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ভীষণ অবাক! প্লুটোর গায়ে সুবিশাল হৃদয় জ্বলজ্বল করছে। তাও আবার কোটি কোটি বছর ধরে। রহস্যময় এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখে অনেকেরই চোখ ছানাবড়া। নাসার মহাকাশযানের তোলা প্লুটোর ছবিতে গ্রহের একাংশে হৃদয়ের চিহ্ন মেলে।

প্লুটো নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছে নাসা। প্লুটোয় পৌঁছনোর চেষ্টায় এবার মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের অভূতপূর্ব সাফল্য। নিউ হরাইজনস নামে ওই মহাকাশযান প্লুটোর খুব কাছ থেকে কয়েকটি ছবি পাঠিয়েছে। সেই ছবিগুলিতেই ধরা পড়েছে প্লুটোয় ভালোবাসার প্রতীকের চিহ্ন। একই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে রহস্যময় অন্ধকার একটি অংশ। এই প্রথম প্লুটোর এত কাছের ছবি নাসার হাতে এলো।

মহাকাশবিদ জন স্পেনসার বলেন, ‘চাঁদে মানুষের পা রাখার মতোই সাফল্য পাচ্ছি প্লুটো গবেষণায়। খুব শিগগিরই ওই গ্রহের নানা রহস্যের সমাধান হতে চলেছে। মহাকাশযানের পাঠানো ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আলোকজ্জ্বল হৃদয়ের পাশেই অন্ধকারাচ্ছন্ন দিক। কিন্তু কেন এই বৈপরিত্য, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

নাসার গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্লুটোর কাছে পাঠানো নিউ হরাইজনস খুব শিগগিরই রহস্যের কিনারা করে দেবে। প্রাথমিক ভাবে তাদের অনুমান, ওই লাভ সাইন হয়তো বরফজমাট এলাকা।

প্লুটো অভিযানে নিউ হরাইজনস পৃথিবী থেকে যাত্রা করে ২০০৬ সালে। প্রায় ১০ বছরে ৩০০ কোটি মাইল পেরিয়েছে নিউ হরাইজনস। সম্প্রতি নিউ হরাইজনস প্লুটোর মাত্র ৯ হাজার ৯৭৭ কিলোমিটার দূর থেকে কয়েকটি ছবি তোলে।