সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক ছবি ও পোস্টে লাইক দিলে বা শেয়ার করলেও তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো ও সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে পল্টন এলাকার ৮৫/১ থেকে এস এম সাখাওয়াত হোসেন (৩৮) নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তারের পর ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মনিরুল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক ছবি ও পোস্টে লাইক দিলে বা শেয়ার করলেও তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে কাউকে ট্যাগ করা কোনো পোস্ট সেই ব্যক্তির অজান্তে শেয়ার করা হলে তা অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবে না। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান তিনি। ডিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রদায়িক উসকানি ছাড়ানোর অভিযোগে ওই ১০-১২টি পোর্টাল গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। আটক যুবক সর্ম্পকে মনিরুল বলেন, সে ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত প্রচার চালিয়ে মুসলমান ও বৌদ্ধদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। ইসলামিক নিউজ ২৪ নামের একটি অনলাইন পত্রিকার কথিত সম্পাদক সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান ব্রিফিংয়ে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। মনিরুল বলেন, তার অনলাইন পোর্টালে মিয়ানমারে মুসলমানরা বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে এমন ছবি পোস্ট করেছে, যদিও ছবিগুলো মিয়ানমারের না। সেগুলো বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার ছবি। জিজ্ঞাসাবাদে সাখাওয়াত জানিয়েছে, মিয়ানমারে বৌদ্ধরা মুসলমানদের ওপর অত্যাচার করছে, এটি সে মেনে নিতে পারছে না। তাই এর প্রতিবাদে সে এই প্রচারণায় নিজের উদ্যোগে অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ছবি সে নিজেই সংগ্রহ করত।