রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, বিশ্ব পরিমণ্ডলেও কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট সেন্টার রাজশাহী সেনানিবাসে ১২তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন এবং দ্বিতীয় বীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সেবা ও কর্তব্যপরায়ণতার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জনগণের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং সমগ্র জাতির আস্থা অর্জন করেছে। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনীর সদস্যদের জনকল্যাণমূলক কাজে অবদান রাখতে হবে। একজন সৈনিক, আমৃত্যু সৈনিক। সৈনিক জীবনে শৃংখলাবোধ আর আনুগত্যের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকার বিষয়। বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’-এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্যারেডে আসেন। সেখানে উপস্থিত থেকে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর তিনি দুপুরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, নিরাপত্তা উপদেষ্টা, নৌ-বাহিনীপ্রধান, সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।