জার্মানির বার্লিনে শপিংমলে হামলার জন্য সন্দেহভাজন হামলাকারী তিউনিশিয়া বংশোদ্ভূত ২৪ বছর বয়সী লরি চালক আনিস আমরি ইতালীয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

জার্মানীর প্রসিকিউটর পিটার ফ্রাংকের বরাতে আমরি নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

শুক্রবার ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় মিলানের শহরতলীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।

বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোররাতে পুলিশ আমরিকে মিলান শহরে হত্যা করে।

একটি রেল স্টেশনের বাইরে আমরিকে দাঁড় করিয়ে পুলিশের নিয়মিত টহল দল তার কাছে কাগজপত্র চায়। এ সময় তিনি গুলি চালাতে শুরু করলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়। এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে তিনি নিহত হন।

ইতালীয় সাময়িকী ‘প্যানোরমা’ তাদের ওয়েবসাইটে একটি স্বল্পদৈর্ঘ ভিডিও প্রকাশ করেছে যা দেখে মনে হয় শুক্রবার ভোরের আগে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দেখা যায়, পুলিশ একটি অন্ধকার জায়গায় ঘিরে রেখেছে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বার্লিনে একটি ক্রিসমাস বাজারে লরি হামলায় মোট ১২ জন নিহত হয়।

পরে লরির ভেতরে একটি সিটের নিচ আনিস আমরির পরিচয়পত্র খুঁজে পায় জার্মান পুলিশ। তারা সেখান থেকে তার আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কেটে হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর মঙ্গলবার ভোরে বার্লিনের মোয়াবিত জেলার একটি মসজিদে আমরিকে নামাজ পড়তে দেখা গেছে বলে পুলিশের ভিডিওতে ধরা পড়ার কথা জানিয়েছে জার্মানির সংবাদ মাধ্যম আরবিবি পাবলিক ব্রডকাস্ট।

বৃহস্পতিবার সকালে ওই মসজিদটিকে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেই সময় তিনি মসজিদটিতে ছিলেন না।

নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে দার তাগেসস্পাইজেল জানিয়েছে, জার্মানির তদন্তকারীদের বিশ্বাস আমরি বার্লিনেই কোথাও লুকিয়ে আছে। কারণ তিনি সম্ভবত আহত এবং কারও নজর এড়াতে চেষ্টা করছেন।

জার্মান পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার ওবারহাউজেনইন শহরের একটি শপিংমলে হামলার পরিকল্পনার সন্দেহে শুক্রবার সকালে দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বিশেষ বাহিনী।

গ্রেফতাররা হলেন, কসোভোতে জন্ম গ্রহণকারী ২৮ ও ৩১ বছর বয়সী দুই ভাই। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ডুইসবার্গ শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ডুইসবার্গের গ্রেফতার এবং আমরির ঘটনার মধ্যে সংযোগ নেই।

আমরিকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল জার্মানির নিরাপত্তা সংস্থা। এ কারণে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনও বাতিল করা হয়েছিল। তবে তার পরিচিতি সংক্রান্ত নথিপত্র হারিয়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে তিউনিসিয়া ফেরত পাঠাতে পারেনি।