সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী এবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে গান গেয়ে শুনিয়েছেন। জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যের শেষে মন্ত্রী রবীন্দ্র সংগীতের কয়েকটি লাইন গেয়ে শোনান। গান শুনে টেবিল চাপড়ে সংসদ সদস্যরা তাঁকে উৎসাহ জোগান।

কিন্তু বাঁধ সেধেছেন অধিবেশনের সভাপতি ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। মন্ত্রীর গান শেষ হওয়ার আগেই তিনি সমাজকল্যাণমন্ত্রীর মাইক বন্ধ করে দেন। এ ছাড়া সমাজকল্যাণমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের সময় দুই মন্ত্রীকে দুই বার ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেন। অধিবেশনের সভাপতি মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে ‘দুই ভাই’ শব্দ এক্সপাঞ্জ করে নেন। তবে ডেপুটি স্পিকার গানের জন্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে গান গেয়ে শোনান। মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশনে এ দৃশ্যের অবতারণা হয়।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে ইংরেজিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বলেন, ‘শেষে আমি কেবল একটি কথাই বলব, রবীন্দ্রনাথের সেই কথা।’ এরপর তিনি সুর করে গাইতে থাকেন, ‘আমার সকল দুঃখের প্রদীপ/ জ্বেলে দিবস গেলে করব নিবেদন/ আমার ব্যথার পূজা হয়নি সমাপন।’

গান শেষ হলে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ‘থ্যাংক ইউ’, ‘থ্যাংক ইউ’ বলে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী আপনি দুটি জায়গায় মাননীয় মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে ভাই বলে সম্বোধন করেছেন এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকেও ভাই বলে সম্মোধন করেছেন।  আমি ভাই শব্দ দুটি আপনার প্রসিডিংস থেকে এক্সপাঞ্জ করলাম।’

এ সময় তোফায়েল আহমেদ হাসছিলেন আর তা দেখে ডেপুটি স্পিকারও হাসি আটকে রাখতে পারেননি। জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে ৩০৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘স্পিকার যদি মনে করেন যে, বিতর্কে এমন সব শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে যা অবমাননাকর বা অশোভন বা সংসদ-রীতিবিরোধী বা অমর্যাদাকর, তাহলে তিনি নিজ ক্ষমতাবলে অনুরূপ শব্দাবলিকে সংসদের কার্যবাহ থেকে বাতিল করে পারবেন।’ শব্দ বাদ দেওয়ার এ প্রক্রিয়াকেই ইংরেজিতে এক্সপাঞ্জ বলা হয়েছে।