শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি এ দেশের মানুষের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ‘কৌতুক’ করত। আসলে সেই কৌতুকর বিষয়ই বাস্তবে রূপ ধারণ করেছে।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঝালকাঠি শিশু পার্কে ‘লানিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের মেলা উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বাংলাদেশ সাহায্যের জন্য কারো দ্বারে যাচ্ছে না মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলা শুধু বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবন্ধ নয়। ডিজিটাল বাংলার মাধ্যমে গ্রামের মানুষ বিদেশ থেকে টাকা আনতে পারেন, দিতেও পারেন। আমাদের কর্মসংস্থান দেখে বিদেশিরা বলতে শুরু করেছে, বাংলাদেশে লোক পাঠানো হবে। আগামী পাঁচ বছরের বছরের মধ্যে বাংলাদেশে কাজ করতে আসবে বিদেশি শ্রমিক। ‘
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে দাবি করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীনের সংগ্রাম করে ছিলেন, তার জীবন যৌবনের সাড়ে ১২টি বছর পাকিস্তানের কারাগারে নির্যাতন ভোগ করেছিলেন। দুই-দুইবার ফাঁসির মঞ্চের আসামি হয়েছিলেন। তৃতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে তখন তিনি পা বাড়িয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশকে আবার পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ‘ তিনি বলেন, ‘যে পাকিস্তানের হাত থেকে আমরা মুক্তি লাভ করেছিলাম, তাদের সঙ্গে আঁতাত করে একটি রুশ কনভেনসন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মূল্যবোধকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল। জাতীয় চার মূলনীতি ছুড়ে ফেলা হয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার অর্থনৈতিক মুক্তির পথ খুঁজে বের করেছে। বাংলাদেশ আলোর মুখ দেখছে। ‘
জেলা প্রসাশক মিজানুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তাব্য দেন লানিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) মির্জা আশ্রাফ ও পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান। পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে ও পায়রা উড়িয়ে মেলা উদ্বোধন করেন। এ সময় স্টলগুলো ঘুরে দেখেন তিনি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলায় বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির ৪০টি স্টল স্থান পেয়েছে।