আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ইলেকশনের রেফারি নিযুক্ত হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতি দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকদের নিযুক্ত করে ইসি পুনর্গঠন করেছেন। ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল দল অংশ নেবে। আর আইনের বই সামনে থাকবে। সেই বইয়ের ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিএনপি অহেতুক কথা বলছে। তারা কৌশলে কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায়। কারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ ছাড়া তাদের উপায় নেই।
বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ফৌজদারহাট এলাকায় নির্মাণ করা হবে। সেখানে একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। উপাচার্য নিয়োগের পর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
মন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন। শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চাই। এই লক্ষ্যে পূরণে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কাজের চিত্র তুলে ধরে বলেন, দেশে সরকারি হাসপাতালে বর্ধিত সাড়ে ১১ হাজার শয্যার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এসব সমস্যা বিএনপির আমল থেকে ছিল। তারা বর্ধিত শয্যার সমস্যা নিরসনে কোনো কাজ করেনি। সম্প্রতি ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য ৪০ হাজার কর্মচারী নিয়োগের জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন হাসপাতালে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে হাসপাতাল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে আন্তরিক হতে হবে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরে পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন মজুমদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আজম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জালাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, বিএমএ চট্টগ্রাম সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।