শুধুমাত্র স্টেম সেল ব্যবহার করে খুব শিগগিরই কৃত্রিম উপায়ে মানব ভ্রূণ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা প্রকাশ করছেন। খবর বিবিসির।
যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ভ্রূণ নিয়ে এ গবেষণা করছেন। শুধুমাত্র স্টেম সেল ব্যবহার করে এই প্রথম ইঁদুরের ভ্রূণ তৈরিতে সাফল্যে পর বিজ্ঞানীদের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মেছে।
গবেষণায় ইঁদুরের দুই ধরনের স্টেম সেল ব্যবহার করা হয়। জীবন্ত ওই ভ্রূণটি তৈরি হতে সময় লেগেছে মাত্র চার দিন। এর আগে ১৯৯৬ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ক্লোন করা প্রাণী ডলি নামের একটি ভেড়ার জন্ম দিয়েছিলো।
কোন ধরনের শুক্রাণু বা ডিম্বাণু ছাড়াই বিজ্ঞানীরা এই প্রথম জীবন্ত ভ্রূণ তৈরি করলেন। গবেষকরা মনে করছেন, একইভাবে মানুষের জন্মের জন্যেও এখন আর শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর ওপর নির্ভর করতে হবে না।
মানবদেহের যেকোনো কোষ থেকে হয়তো একজন মানুষের জন্ম হতে পারে। এ গবেষণাকে জীব-প্রকৌশলের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
কারণ বিজ্ঞানীরা হয়তো কোন এক সময় এই একই উপায়ে ল্যাবরেটরিতে মানুষের ভ্রূণ তৈরি করতেও সক্ষম হবেন।
তবে এরকম কোন উদ্যোগ নেয়া হলে সেটা বিতর্কের মুখে পড়তে পারে, কারণ এখানে অনেক নীতি- নৈতিকতার বিষয়ও জড়িত।
এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা উল্লেখ করে কিংস কলেজের অধ্যাপক ড.ডাস্কো ইলিচ বলেছেন, গবেষণাগারে জীবনের প্রথম ধাপটি আবিষ্কারের অর্থ হচ্ছে বিজ্ঞানের খুবই অগ্রসর এক অর্জন।
এর আগে ল্যাবরেটরিতে ভ্রূণ তৈরির চেষ্টা করে বিজ্ঞানীরা ব্যর্থ হন। কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা দেখলেন, ট্রফোব্লাস্ট স্টেম সেল ব্যবহারের কারণে এই দুটো সেলের মধ্যে যোগাযোগ হয় এবং এই দুটো কোষ মিলেই সিদ্ধান্ত নেয় তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে। এবং তখনই সেটা সফল হয়।
প্রযুক্তির সাহায্যে ইঁদুরের স্টেম সেলের জিনে কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে এ কৃত্রিম ভ্রূণ তৈরি করা হয়েছে। এর সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ট্রফোব্লাস্ট স্টেম সেল যা স্বাভাবিক গর্ভধারণের প্রক্রিয়ার সময় প্লেসেন্টাতে তৈরি হয়।