বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে অগ্রগতিও হয়েছে বেশ।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বুধবার জানান, ‘আমাদের ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘদিনের দাবি পেপ্যালকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সবীজ ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে আমরা দীর্ঘদিন ধরে পেপ্যালের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আলোচনায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা আশাবাদী কিছুদিনের মধ্যে হয়তো একটা সুখবর দিতে পারবো’।
এর আগে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পেপ্যালের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সদ্য বিদায়ী বেসিস সভাপতি শামীম আহসানও।
ওই বৈঠকে পেপ্যাল না আনা গেলেও তার বদলে মানি ট্রান্সফার কোম্পানি জুম বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর কথা জানানো হয়। প্রতিমন্ত্রী ওই বৈঠকে বাংলাদেশে বর্তমান ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা ও পলিসি সাপোর্টের বিষয়ে পেপ্যালকে আশ্বস্ত করেন।
পেপ্যালও বাংলাদেশ কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিজেদের অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে তখন জানিয়েছে।
পলক তখন বলেছিলেন, পেপ্যালকে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে নিয়ে আসতে আমাদের নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা থাকবে।
এদিকে বুধবার দুপুরে সরকারের যুগ্ম-সচিব মাহবুব কবির মিলন ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘এইমাত্র আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে বের হলাম। ছোট্ট কিন্তু বিশাল একটি আনন্দের সংবাদ দিচ্ছি। পেপ্যাল আসছে বাংলাদেশে। সোনালী ব্যাংকের সাথে এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে গেছে। আগামি দুই-তিন মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করে দেবে তারা আমাদের দেশে’।
আর এরপর বিষয়টি নিয়ে নানা মতভেদ শুরু হয়। স্যোশাল মিডিয়ায় ভুয়া-সঠিক নিয়ে নানা বিতর্ক চলতে থাকে।
বিষয়টি নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের একটি সূত্র বলেছে, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। তবে তা এমইউ ধরনের নয়। এটি খুবই প্রাথমিক শুরুর একটি চুক্তি।
তবে এই চুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত কিছু না বললেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের জানিয়েছেন, পেপ্যাল দেশে আনার প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর উদ্যোগে চলমান রয়েছে।
তবে পেপ্যাল চালুর নির্দিষ্ট সময়ের কোনো বিষয়ও জানাননি এ কর্মকর্তা।