শারদীয় দুর্গোৎসবে আজ মহাষ্টমী। আর মহাষ্টমীতে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ কুমারীপূজা। দেবী পুরাণে কুমারীপূজার সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কুমারীপূজা কেন করা হয়, এ প্রসঙ্গে শ্রীরাম কৃষ্ণ পরমহংস দেব বলেছেন, ‘সব স্ত্রীলোক ভগবতীর একেকটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। কুমারীপূজার মাধ্যমে নারী জাতি হয়ে উঠবে পূতপবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন। প্রত্যেকে শ্রদ্ধাশীল হবে নারী জাতির প্রতি। ’
প্রতি বছরের মতো এবারও মহাষ্টমীতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে অনুষ্ঠিত হবে কুমারীপূজা। সকাল সাড়ে ৬টায় পূজা শুরু হলেও কুমারীপূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১১টায়। আর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে শুরু হবে সন্ধিপূজা।
শাস্ত্র অনুসারে, অষ্টমী তিথিতে সাধারণত এক বছর থেকে ১৬ বছর বয়সী সুলক্ষণা কুমারীকে পূজা করা হয়। বয়স ভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন। এক বছর বয়সে ‘সন্ধ্যা’, দুইয়ে ‘সরস্বতী’, তিনে ‘ত্রিধামূর্তি’, চারে ‘কালিকা’, পাঁচে ‘সুভগা’, ছয়ে ‘উমা’, সাতে ‘মালিনী’, আটে ‘কুব্জিকা’, নয়ে ‘অপরাজিতা’, দশে ‘কালসন্ধর্ভা’, এগারোয় ‘রুদ্রাণী’, বারোয় ‘ভৈরবী’, তেরোয় ‘মহালক্ষ্মী’, চৌদ্দয় ‘পীঠনায়িকা’, পনেরোয় ‘ক্ষেত্রজ্ঞা’ ও ষোল বছরে ‘অম্বিকা’ নাম দেওয়া হয়ে থাকে।
রাজধানীর রমনা কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, স্বামীবাগ লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম, ধানমণ্ডি কলাবাগান মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, বাংলাবাজার পূজা কমিটি, নর্থব্রুক হল রোড, প্রতিদ্বন্দ্বী পূজামণ্ডপ, তাঁতীবাজার পূজা কমিটি, শঙ্ঘমিত্র শাঁখারীবাজার, পাণিটোলা, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান কমিটি, হাজারীবাগ সুইপার কলোনি, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, আজিমপুর সর্বজনীন পূজামণ্ডপ, বনানী পূজামণ্ডপ, গৌতমমন্দির, ভোলাগিরি আশ্রমসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যা আরতীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল।