টেকনাফের মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আনসার ব্যারাক থেকে লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।

শুক্রবার সকালে লুট হওয়া ১১টি অস্ত্র, ৬৭০ রাউন্ড গুলি ও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে আশপাশের পাহাড়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ।

ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথের নেতৃত্বে অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ।

পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বাংলানিউজকে জানান, মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে রয়েছে পাহাড়। আর ওই পাহাড়ে ডাকাত দলের আস্তানা রয়েছে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। এর প্রেক্ষিতে ওই আস্তানা লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এদিকে এ ঘটনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে আসছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে মুচনী রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শালবাগান আনসার ব্যারাকে সশস্ত্র হামলা চালায় ডাকাতরা। হামলায় গুলিবিদ্ধ আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার আলী হোসেনকে (৫৫) ক্যাম্প হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় ডাকাতরা আনসার ব্যারাক থেকে ৫টি চায়না রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শর্টগান ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি লুট করে নিয়ে যায়।

ক্যাম্প পুলিশের পরির্দশক মো. কাসেম জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।