রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় লাইসেন্সবিহীন ১৪টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দ্রুত এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দিয়েছেন।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বিপরীতে বাবর রোড, হুমায়ুন রোড ও খিলজি রোডে মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যে গড়ে উঠেছে এসব বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। বন্ধের নির্দেশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—ক্রিসেন্ট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, বিডিএম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়্যাল মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটাল, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল হসপিটাল, মনমিতা মেন্টাল হসপিটাল, প্লাজমা মেডিক্যাল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হসপিটাল, ইসলামিয়া মেন্টাল হসপিটাল, মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতাল, নিউ ওয়েল কেয়ার হসপিটাল ও বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজড হসপিটাল।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে করা এক রিট আবেদনে এই আদেশ দেওয়া হয়। আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল পরিচালনা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং এগুলো পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে