মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চলমান নৃশংসতার নিন্দা জানিয়ে তা বন্ধের দাবি জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট (ইপি)। একইসঙ্গে রাখাইনে নৃশংসতা বন্ধে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান আনার দাবি জানাতে চীন এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ক্ষমতাধর দেশগুলোকে সকল উপায় অবলম্বনের আহবান জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের স্ট্রসবার্গের ইইউ পার্লামেন্টে গৃহিত প্রস্তাবে রাখাইনে ব্যাপক মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, সহিংসতা, বেসামরিক মানুষের সম্পদ ধংস এবং লাখ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ইপি’র সদস্যরা অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের হত্যা, হয়রানি, ধর্ষণ ও তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ বন্ধের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
প্রস্তাবে ইপি’র সদস্যরা আক্রান্ত এলাকায় এবং পলায়নত জনগোষ্ঠীর কাছে ত্রাণ সংস্থাগুলো, সহায়তাকারী ও গণমাধ্যমকের কর্মীদের যেতে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে পোতা সব ভূমি মাইন অপসারণের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মিয়ানমার সরকার ও দেশটির ‘ডি ফ্যাক্টো’ নেতা অং সান সুচি’র প্রতি সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় ঘৃণা উস্কে দেয়ার ঘটনাগুলোর প্রকাশ্যে নিন্দা জানাতে বলেছেন ইপির সদস্যরা। এছাড়া সামাজিক বৈষম্য ও বৈরিতা মোকাবিলারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
আইনপ্রণেতারা উল্লেখ করেছেন, মানবাধিকার ও সংখ্যালঘুদের রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য ১৯৯০ সালে সুচিকে ইইউ পার্লামেন্ট থেকে শাখারভ পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার জয়ী ব্যক্তি এসব প্রতিশ্রুতির ব্যতয় ঘটালে তার পুরস্কার পরবর্তীতে ফেরত নেওয়া হবে কিনা এ বিষয়টি বিবেচনার সময় এসেছে।