যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে পুলিশি হেফাজতে আহত কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংস-বিক্ষোভ চরমে উঠেছে। বিক্ষোভ মোকাবিলায় শহরটিতে গতকাল মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং এক সপ্তাহের জন্য সান্ধ্য আইন (কারফিউ) জারি করা হয়েছে।
চাপের মুখে পড়া পুলিশ বাহিনীকে সহায়তার জন্য ন্যাশনাল গার্ডের প্রায় পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসির।
কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ফ্রেডি গ্রের শেষকৃত্য হয় গত সোমবার। এর কয়েক ঘণ্টা পর থেকে বাল্টিমোরে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। সন্ধ্যায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় শহরের পশ্চিম অংশের বেশির ভাগ এলাকার অনেক দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এর আগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের ১৫ সদস্য আহত হন।
সহিংসতায় জড়িত সন্দেহে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাল্টিমোরের মেয়র স্টেফানি রওলিংস-ব্লেক বলেন, ঘটনাস্থলে ‘বিচারপ্রার্থী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী’ এবং ‘সহিংসতার উসকানিদাতা দুর্বৃত্তদের’ মধ্যে পার্থক্য ছিল খুব স্পষ্ট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য সব রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
মেরিল্যান্ডের গভর্নর ল্যারি হগ্যান জনসাধারণের জানমাল রক্ষা করার লক্ষ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এক নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন। ন্যাশনাল গার্ডকে ‘শেষ আশ্রয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্তটি মোটেও হালকাভাবে নেওয়া হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এর আগে বলেছেন, তাঁর প্রশাসন বাল্টিমোরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় সব রকমের সহায়তা দেবে।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফ্রেডি গ্রে (২৫) ১৯ এপ্রিল মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি এক সপ্তাহ গভীর অচেতন অবস্থায় (কোমা) ছিলেন। ঠিক কোথায় এবং কখন তিনি মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন, তা তদন্ত করছে বিচার বিভাগ। গ্রেকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের ছয় সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।