যানজট ঢাকার অন্যতম প্রধান সমস্যা। এ নিয়ে নগরবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। নিত্য দিনের এই ভোগান্তির সমাধানে নানা উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও বাস্তবায়ন চোখে পড়ে না। এরই মাঝে দীর্ঘ আট বছর পর হতে চলেছে ঢাকা সিটি নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের আগে দুই সিটির মনোনীত মেয়রপ্রার্থীদের কেউ কেউ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যানজট নিরসন ও সড়ক সংস্কারের নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চান তারা। কেউ গণপরিবহন ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়নে তৎপরতার কথা বলেছেন, তো কেউ আবার যত্রতত্র পার্কিং বন্ধসহ পৃথক সাইকেলের লেনের ব্যবস্থা করতে চেয়েছেন। কিন্ত এসব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্ভব কতটুকু?
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে আসন্ন নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়রদের জন্য কিছু পরামর্শ রেখেছেন। দায়বদ্ধ নগরপিতা হিসেবে কাজ করার কথা বলেন তারা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড়. মো. শাসমুল হক যানজট নিরসনে মেয়রদের ভূমিকা সম্পর্কে প্রথমেই বলেন, ‘মেয়রদের সীমাবদ্ধ প্রশাসনিক ক্ষমতার কারণে এ ধরনের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।’ এজন্য তিনি সিটি করপোরেশনকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার কথা বলেন।
এছাড়া যানজট নিরসনে প্রথমে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানান ড. শাসমুল হক। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা নিয়ে মেয়রদের উচিৎ হবে তাদের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নে দায়দ্ধভাবে সরকারকে তাগিদ দেয়া। তা নাহলে আগের অবস্থাই রয়ে যাবে।
এ বিষয়ে নগর পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন প্রথমেই মনোনীত প্রার্থীদের সড়ক বন্ধ রেখে নির্বাচনী প্রচারণা না চালানোর পরামর্শ দেন।
এরপর তিনি নির্বাচিত মেয়রদের ‘ম্যাস ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম’ এর উপর জোর দিতে বলেন। নতুন প্রজেক্ট হাতে না নিয়ে নতুন নগরপিতা যে দলেরই হোন, তাদেরকে পূর্বের সড়ক পরিকল্পনা বাস্তবায়নেই সরকারকে জোর দিতে পরামর্শ দেন ড. সালেহউদ্দিন।