ভিনগ্রহে প্রাণি রয়েছে কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের নিরন্তর গবেষণা চলছেই। এবার ভিনগ্রহে প্রাণির সন্ধানে উঠেপড়ে লেগেছেন পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। হকিং পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণি রয়েছে কিনা তার একটা সুরাহা করতে চান।

ভিনগ্রহে প্রাণির সন্ধান করতে ইতোমধ্যে একটি প্রকল্পও চালু হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম ‘ব্রেকথ্রু লিসন’। প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে মিলনার নামে এক রুশ নাগরিক।

গত সোমবার লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে প্রকল্পটির উদ্বোধন হয়। পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ব সন্ধানে এখনও পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক অভিযান।

এ বিষয়ে হকিং বলেন,  ‘আমরা মনে করি প্রাকৃতিক ভাবেই পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। ফলে, মহাশূন্যের কোথাও না কোথাও হয়তো প্রাণের অস্তিত্ব আছে। তারা হয়ত আমাদের জীবনের উপর নজর রাখছে!’

ভিনগ্রহে প্রাণির সন্ধানের এই প্রকল্পের আওতায় মহাশূণ্যে এক্সট্রা টেরিস্টেরিয়াল ইন্টেলেজেন্সি খোঁজা হবে। ১০ বছর মেয়াদী এই অনুসন্ধানে পৃথিবীর আশেপাশের গ্রহ-নক্ষত্র থেকে রেডিও সিগন্যাল গ্রহণ করা হবে। ধারনা করা হচ্ছে ভিনগ্রহে যদি প্রাণের অস্তিত্ব থাকে তবে তারা অন্য গ্রহের প্রাণিদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সিগন্যাল প্রেরণ করবে।

‘ব্রেকথ্রু লিসন‘ প্রকল্পের গবেষকগণ দাবি করছেন তাদের প্রযুক্তি আগের সব প্রযুক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। তাদের পরিকল্পনা রয়েছে মহাশূণ্যে পূর্বের চেয়ে ১০ গুণ বেশি অনুসন্ধান চালানো হবে। এর রেডিও স্প্রেকট্রাম ভিনগ্রহ থেকে প্রেরিত সিগন্যাল ৫ গুণ বেশি দক্ষতার সঙ্গে স্ক্যান করতে সক্ষম। যা কিনা ১০০ গুণ বেশি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে।

এই গবেষণা পরিচালনার জন্য দুটি শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হবে। এদের মধ্যে ‘গ্রিন ব্যাংক’ নামের একটি টেলিস্কোপ রয়েছ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায়। অন্যটি আছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে। এটির নাম ‘পার্কস টেলিস্কোপ।’