প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের আগেই সম্ভাব্য চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে দেশটির সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলটি।
মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের এ অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর সফরে যেসব চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তার সবকটি জনগণের সামনে প্রকাশ করবে সরকার। কারণ দেশের মালিক হিসেবে প্রতিরক্ষার মত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানার ও মতপ্রকাশের অধিকার তাদের (জনগণ) রয়েছে।’ জনগণকে পাশ কাটিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো চুক্তি অথবা সমঝোতা স্মারক জনগণ মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব।
ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি বা স্মারকের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার দাবি করে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বর্তমানে সর্বকালের উষ্ণতম পর্যায়ে আছে। সে ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে কেন ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে হবে তা বোধগম্য নয়।’
সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা চুক্তির কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধানে ভারত আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসলে এদেশের মানুষের মনে সৃষ্ট আস্থার ঘাটতি দূর হবে।
‘এজন্য আলাদা করে কোনো প্রতিরক্ষা বা সমঝোতা স্মারকের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি না। লিখিত প্রতিরক্ষা চুক্তি বা সমঝোতার প্রশ্ন তখনই উঠে যখন পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার ঘাটতি থাকে’ যোগ করেন তিনি। চুক্তি হলে বিএনপি কোনো কর্মসূচি দেবে কিনা জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘চুক্তি হলে তখন দেখা যাবে।’
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।