৩রা জুন ২০১৫ইং তারিখে জার্মানীর নর্থ রাইন ভেসটফালিয়া স্টেট এর ক্লেভ শহরে অবস্থিত হকসুলে রাইন-ওয়লা (রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি) আয়জন করেছিল ফেস্টিভাল অব টলারেন্স নামে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের। প্রতিবছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সকল আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি বিশেষ করে নিজ দেশের তৈরি ঐতিহ্যবাহী খাবারকে সকলের কাছে তুলে ধরার লক্ষে আসতা হকসুলে রাইন-ওয়াল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে।

এবার দ্বিতীয় বারের মত জার্মানীতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের অন্যতম প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠ কম্যুনিটি (বাংলাদেশী স্টুডেন্ট এন্ড এলামনী এসোসিয়েশন এইচ.এস.আর.ডব্লিউ.) হিসেবে সকল তরুনপ্রাণদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়। অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরাও তাদের সংস্কৃতি এবং শৈল্পিক মুখরোচক বাংলা খাবার সবার কাছে তুলে ধরে।

ft3

অনুষ্ঠানের সর্বোপরি বাংলা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত সকল তরুন তরুণীদের বিচরণ ছিল লক্ষণীয়। সবাইকে মুগ্ধ করে তারা। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সবার কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিচিতি বিশ্বের কাছে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল। জার্মানীতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের এই ছোট্ট প্রয়াশ বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আরও একমুঠো মর্যাদা এনে দিল। বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমরা আজ গর্বিত। ভবিষ্যতে আরও একনিষ্ঠ হয়ে উদ্দীপনা নিয়ে বাংলাদেশকে শুন্দর ভাবে পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে পরিচিত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বাংলাদেশী স্টুডেন্ট এন্ড এলামনী এসোসিয়েশন এইচ.এস.আর.ডব্লিউ. এর সকল সদস্যরা।

ft22উক্ত অনুষ্ঠানে ২০টিরও বেশী দেশের ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল। অনুষ্ঠান শুরু হয় কিছু খুদ্র খুদ্র কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলকপাত করে সেমিনার, ওয়ার্কশপ দিয়ে। দিনভর মুখরোচক ভিন্নধর্মী সব খাবার উপভোগ, সঙ্গিত এবং ছোট ছোট খেলার মধ্য দিয়ে পালিত হয় ফেস্টিভাল অব টলারেন্স।