দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের ৮টি টেস্টের সাতটিতে ইনিংস ব্যবধানে এবং অপরটিতে ৫ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে এবার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম তিন দিন বেশ ভালো অবস্থানেই ছিল স্বাগতিক শিবির। কিন্তু বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিনে খেলা হয়েছে পরিত্যক্ত। বাকি শুধু পঞ্চম দিন। বড় অঘটন না হলে ম্যাচ নিশ্চিত ড্র। যেটা বাংলাদেশের জন্য ভালোই। প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে পাওয়া যাবে কোন টেস্ট ম্যাচে ড্র। তবে এই দৃষ্টিতে সবকিছু দেখছেন না বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। বৃষ্টির কারণে খেলা না হওয়ায় বরং হতাশই তিনি।

অনেকটা আক্ষেপ মেশানো কন্ঠে সুজন বললেন ‘লড়াইটা বেশ জমজমাট ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে এখন ম্যাচটা প্রায় ড্রয়ের দিকেই এগুচ্ছে।’ তবে চট্টগ্রাম টেস্টে ভালো কিছু স্মৃতি নিয়ে ঢাকা টেষ্টে ছেলেরা আরও ভালো করবে বলে মনে করেছেন তিনি।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ২৪৮ রানের জবাবে ৩২৬ রানে থামে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। ৭৮ রান পিছিয়ে থেকে তৃতীয়দিন শেষে বিনা উইকেটে অতিথি দলের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ৬১। তবে  বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়েছে। লিড নিয়েও প্রথম টেস্টের চতুর্থদিন খেলতে না পারায় শুক্রবার হোটেল র‌্যাডিসনে সাংবাদিকদের কাছে হতাশা প্রকাশ করেন স্বাগতিক দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।

সুজন বলেন, ‘প্রথম তিনিটে দিন ভালো পারফর্ম করার পর চতুর্থ দিন খেলতে না পারলে খেলোয়াড়দের খারাপ লাগে। প্রথম টেস্টটি দুই দলের জন্য সমান ছিল। জয়ের সম্ভাবনা দুই দলের থাকলেও আমরা কিন্তু এগিয়ে ছিলাম।  তাই খারাপটা একটু বেশিই লাগছে। চতুর্থও পঞ্চম দিনটা খেলতে পারলে দুই দলের মধ্যে জমজমাট একটি লড়াই হতো। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আমাদের আর কী করার আছে। প্রকৃতির ওপরতো আর কারো হাত  নেই।’

চট্টগ্রাম টেস্টের পারফর‌্যান্স  খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তাতে করে ঢাকা টেস্টে উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামতে পারবে বাংলাদেশ দল। এ বিষয়ে স্বাগতিক দলের ম্যানেজার বলেন, ‘আমরা ভালো কিছু নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। চতুর্থ দিন খেলতে পারলে তাদের ১০ উইকেট নেওয়ার সুযোগ থাকতো। তাতে ঢাকা টেস্টে আরো ভালো করত খেলোয়াড়রা। কারণ ঢাকার মাঠ তাদের আরো বেশি পরিচিত।’

বর্ষা মৌসুমে বড় দলগুলোর সঙ্গে সিরিজ খেলা নিয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘সারা বছর খুব ব্যস্ত সময় অতিক্রম করে বড় দেশগুলো। তাই সবার সঙ্গে মিল রেখে সিরিজ সিডিউল নির্ধারণ করতে হয়। এর ফলে বর্ষা মৌসুমে বা শীতকালে পড়ছে কিনা সেটি দেখা হয় না। কারণ ভালো ভালো দলগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজ খেলতে চাইতো না। এখন তারা আমাদের সঙ্গে খেলছে। তাই বর্ষা মৌসুমে সিডিউল দিতে হয়েছে। তবে আগামীতে এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’

ওয়ানডে ফরম্যাটে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল একটা জায়গা করে নিয়েছে। সেই তুলনায় টি২০ এবং টেস্টে এখনও ভালো দলে পরিণত হতে পারেনি বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘ওয়ানডেতে আমরা এগিয়ে গেলেও টেস্ট ও টি২০তে আমাদের আরো ভালো করতে হবে। এই দুই ফরম্যাটে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। তবে ধীরে ধীরে ভালোর দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এটি ভালো লক্ষণ। তিন ফরম্যাটে ভালো কিছু করে আমরা র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়ার  চেষ্টা করব।’