বিষাক্ত কেমিক্যাল সংমিশ্রণে খাদ্যসামগ্রী উত্পাদন ও ভেজাল খাবার বাজারজাতকরণ অব্যাহতভাবে চলছে। এ ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্য প্রতিরোধে সরকারের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চলছে। তারপরও ভেজাল বিষাক্ত ও কেমিক্যাল সংমিশ্রণে উত্পাদিত খাদ্যসামগ্রীর আগ্রাসনে স্বাস্থ্যসেবা চরম হুমকিতে। এ পরিস্থিতি সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার সুস্থ জীবনের অঙ্গীকার”। খাদ্য এ দেশের সংবিধানেও রাষ্ট্রের মৌলিক চাহিদা হিসাবে স্বীকৃত। সেই খাদ্যের নামে মানুষ কি খাচ্ছে? ক্যালসিয়াম কার্বাইডসহ নানা ধরনের দ্রব্য দিয়ে অপরিপক্ব ফল পাকানো হচ্ছে। মাছ, দুধ, ফল কিংবা তরিতরকারিতে লাশ সংরক্ষণের ফরমালিন মেশানো হয়। সেই সকল খাদ্য আমরা খাচ্ছি নিয়মিত। ওষুধের নামে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধে বাজার সয়লাব। এ ওষুধ ঢাকার বাইরে ব্যাপক হারে বাজারজাত চলছে। ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গাছাড়া ভাব। মিনারেল ওয়াটারের নামে ওয়াসার কিংবা নদী-নালার পানি বোতলজাত করে দেদারসে বাজারজাত চলছে। সাম্প্রতিককালে পরীক্ষাগারে বাজারজাতকৃত মিনারেল ওয়াটার পরীক্ষা করা হয়। দেখা গেছে ৯৮ ভাগই মিনারেল ওয়াটার নয়। ব্যাকটেরিয়াসহ নানা রোগজীবাণু ঐসব মিনারেল ওয়াটারে রয়েছে। সায়েন্স ল্যাবরেটরি, সিটি করপোরেশনের ও পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউটের খাদ্য পরীক্ষাগারে বাজারজাতকৃত খাদ্যসামগ্রী নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়েছে। এভাবে পরীক্ষাগারে রিপোর্টে বাজারকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ ভেজাল ও বিষাক্ত কেমিক্যাল সংমিশ্রণের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার পাওয়া দুঃসাধ্য। কিডনি, লিভার, ক্যান্সার, গাইনি, স্নায়ু ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের মতে, দেশে কিডনি, ক্যান্সার, লিভার নষ্ট, ডায়াবেটিসসহ অসংক্রামক দাবি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধিরা।