যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি শূন্য!
গেলো ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিলো শূন্য শতাংশ। অর্থাত্ এসময় দেশটিতে কোন মূল্যস্ফীতি হয়নি। খাদ্যদ্রব্যের দাম এবং কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি না পাওয়ায় জানুয়ারি মাসে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থাকলেও ফেব্রুয়ারি মাসে তা শূন্য শতাংশে নেমে আসে। (খবর:বিবিসি)। ১৯৮৮ সালের পর ভোক্তা মূল্য সূচকে (সিপিআই) এ ধরনের চিত্র আর দেখা যায়নি। বিশ্লেষকদের আশা ছিলো মূল্যস্ফীতির হার কমে গেলেও তা শূন্য দশমিক এক শতাংশ হলেও থাকবে। মূল্যস্ফীতির চিত্রে দেখা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়েনি। অন্যদিকে বিশ্লেষকরা এ চিত্রকে মূল্যসংকোচনের পূর্বাভাস হিসেবে দেখছেন। অর্থাত্ জীবনযাত্রায় মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে মূল্য হ্রাসের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খাদ্যদ্রব্যের সাথে সাথে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসের ফলে এ ধরনের চিত্র দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতিতে কিছু মূল্যস্ফীতি থাকলে তা প্রবৃদ্ধি এবং ব্যবসা সহায়ক হয় বলে বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন।
বাজেট ঘাটতি কমায় ফ্রান্সের অর্থনীতিতে উন্নতির ইঙ্গিত
লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনছে ফ্রান্স। ফলে দেশটির অর্থনীতি শক্তিশালী হবার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকরা। ফ্রান্সের সরকারি তথ্যানুযায়ী, ২০১৪ সালে দেশটির বাজেট ঘাটতির আকার ৪ দশমিক ৪ শতাংশে রাখার লক্ষ্য থাকলেও তা কমে ৪ শতাংশে নেমে আসে। চলতি ২০১৫ সালের বাজেট ঘাটতির আকার ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে। ইউরোজোটের দ্বিতীয় বড় অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১ শতাংশের মতো। গত বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছিলো মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। সরকারি ব্যয় হ্রাস এবং গত বছরে রাজস্ব আদায় কম হবার ফলে যে রকম আশংকা করা হয়েছিলো সেরকমটি ঘটেনি। সরকারি লক্ষ্যমাত্রা হলো ২০১৭ সালের মধ্যে দেশটির বাজেট ঘাটতি ৩ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখার। দেশটির ব্যবসায়িক আস্থা বাড়লে সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, বেকারত্বের হার বাড়ছে।
ইউরোপে অর্থনৈতিক গতিশীলতা ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ
ইউরোপের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে গত ৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যবেক্ষণ সংস্থা মার্কিটের এক জরিপে দেখা গেছে, গত ৪৬ মাসের মধ্যে ইউরোপের ব্যবসায়িক সূচকে বড় উন্নতি হয়েছে মার্চ মাসে। জরিপে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইউরোপের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। এ ধরনের অর্থনীতির গতি ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ২০১১ সালের আগস্টের পর কর্মসংস্থানের হারও বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ইউরোপের অনেক দেশে মূল্যসংকোচনের যে ঝুঁকি ছিলো তাও অনেক কমে এসেছে। জার্মানীর শিল্প উত্পাদন একবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, সেইসাথে সেবা খাতের অবদানও গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রয়েছে। ফ্রান্সের অর্থনীতিতেও চাঙ্গাভাব রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু ইউরোপের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির ফলই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কম থাকার সুফল পাচ্ছে ইউরোপ।
চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৭.২%— এডিবির পূর্বাভাস
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পূর্বাভাস অনুযায়ী চীনা সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হারে প্রবৃদ্ধি হবে চলতি বছর (২০১৫)। সরকারি হিসাবে এ বছর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশ থাকলেও এডিবি বলছে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে গত অর্থবছরে ৭.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও তা ছিলো গত ২৪ বছরের মধ্যে চীনের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। চীনের বিনিয়োগ পরিস্থিতি দুর্বল হওয়া, কারখানার উত্পাদনে ধীরগতির সাথে সাথে সম্পত্তির বেচা-কেনা হ্রাস পাওয়ায় প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক কম হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্বমন্দা পরিস্থিতিতে এ ধরনের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাকে বড় সাফল্য মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র :আলাউদ্দিন চৌধুরী  (ittefaq.com)