“বাংলাদেশে আগামীতে আর কোনো পাতানো নির্বাচন হবে না। আগামী নির্বাচন হবে অর্থবহ। সে নির্বাচনে অংশ নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বর্তমান সরকার একটি অনির্বাচিত সরকার, অসাংবিধানিক সরকার, সংসদও অকার্যকর। এটি দেশ বিদেশের সবাই অবহিত। ”
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে নোয়াখালী জেলা বিএনপির যৌথ প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
মওদুদ বলেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে পর্যায়ে এসেছে তাতে গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ এ সরকারের সময়ে নিয়মে পরিণত হয়েছে। মেয়ের অপমানের জন্য থানায় মামলা না নেওয়ায় বাবাসহ মেয়ের আত্মহত্যা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এতে বোঝা যায় দেশের আইনশৃঙ্খলা কি অবস্থা। তাদের সময়ে রক্ষিবাহিনীর নির্যাতন আজও মুছে যায়নি। এ সরকার ভারতের সাথে কি চুক্তি করে এসেছে তা অদ্যাবধি সংসদকে অবহিত করেননি। ”
বিএনপি নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ভারতে উষ্ণ সংবর্ধনা নিলেও পানির ন্যায্য হিস্যা আনতে পারেননি। এ সরকার দুর্বল ও নতজানু সরকার। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভারতের সঙ্গে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করে আনবে। ” তিনি বলেন, “দলীয় সরকারের আমলে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হতে পারে না। আগামী অল্প কয়েক দিনের মধ্যে আমরা সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেব। সে রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনব। ”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মইন খান দলীয় নেতাকর্মীদের এক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “উপমহাদেশের নেতাদের জীবনালেখ্য পাঠ করুন। আমাদের দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক খেলায় এবার আর হারবো না। আগামী নির্বাচন অর্থবহ না হলে কোনোদিনই আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। তাই সমমনা সবাইকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ভোটের বাক্স পাহারা দিতে হবে। এ জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ”
নোয়াখালী জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে যৌথ প্রতিনিধি সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, শামিমা বরকত লাকি, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, আ্যডভোকেট এ বি এম জাকারিয়া প্রমুখ।