বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার চার কিশোর মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে।কানাডায় জন্ম নেওয়া চার কিশোরের সবাই স্কুলছাত্র। তাদের বয়স ২০ বছরের নিচে। এ ঘটনায় তাদের বাবা-মা উদ্বিগ্ন।
২০১২ সালে এই চার কিশোর প্রথম নিখোঁজ হয়। অভিভাবকেরা বিষয়টি টরন্টো পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ জানতে পারে, আইএসে যোগ দিতে আবু মুসলিমের সঙ্গে ওই চার কিশোর কানাডা ছেড়েছে।
নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ পর অভিভাবকেরা জানতে পারেন তাঁদের সন্তানেরা তখনো সিরিয়ায় প্রবেশ করেনি। তারা লেবাননে অবস্থান করছে। পরে তাঁরা লেবাননে গিয়ে বুঝিয়ে ছেলেদের কানাডায় ফিরিয়ে আনেন। জব্দ করা হয় তাদের পাসপোর্ট।
২০১৪ সালের ৬ জুলাই চার কিশোর টরন্টো থেকে আবার নিখোঁজ হয়। এবার তারা মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তুরস্কের উদ্দেশে টরন্টো বিমানবন্দর ছাড়ে। পরে ইস্তাম্বুল থেকে টুইটারে বার্তা দেন মোহাম্মদ আলী। এতে সিরিয়ায় প্রবেশ করার পথ জানতে চান তিনি।
আইএসের প্রকাশ করা একটি ভিডিওচিত্রের সূত্র ধরে ওই চার কিশোরের আইএসে যোগ দেওয়ার কথা দাবি করেছে কানাডার জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা।এন্ড্রু পলিন ওরফে আবু মুসলিম নামের এক কানাডীয় গত গ্রীষ্মে সিরিয়ায় আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হন। এরপর ওই ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে আইএস।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার দাবিমতে, এই চার কিশোর হলো তাবিরুল হাসিব, আবদুল মালেক, নুর ও আদিব। তাদের মধ্যে হাসিবের ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছে পুলিশ।