গেল এপ্রিলে রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজারে তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাংক ডাকাতির মধ্য দিয়ে এ ধরনের ঘটনায় জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রথম সামনে আসে। ওই ঘটনায় নয়জন নিহত হন। ঘটনায় জড়িত ছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম।
রোববার রাজধানীর সূত্রাপুর ও বনশ্রী থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ; বলা হচ্ছে, যাদের পরিকল্পনা ছিল ব্যাংক ডাকাতির এবং যারা নব্য সংগঠিত জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশ জিহাদি গ্রুপের সদস্য। আটককৃতরা সবাই জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি) ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রাক্তন সদস্য বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন- কাজী ইফতেখারুল খালেদ, ফাহাদ বিন নুরুল্লাহ কাসেমী, মো. রাহাত, দ্বীন ইসলাম, আরিফুল করিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল্লাহ কাসেমী, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. ইয়াসিন আরাফাত।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘নতুন জঙ্গি সংগঠনের অর্থ সংগ্রহের জন্য তারা ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তা0র করা হয়েছে।’
আটককৃতদের কাছ থেকে ৫ কেজি ওজনের বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ৮টি বোমা, ৬টি চকলেট বোমা, ৪টি চাপাতি, উগ্র মতবাদ সম্বলিত পুস্তক, এবং বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপের একটি প্রস্তাবিত পতাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
কৃষ্ণ পদ রায় আরো জানান, ‘নতুন সংগঠনটির জন্য ঢাকা ছাড়াও উত্তর বঙ্গের একটি ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল তারা। তাদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাকি আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।’
আটক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও এবং সূত্রাপুর থানায় বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস আইনে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিবি দক্ষিণ বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আহসান হাবীব ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ও পুলিশের বিশেষ শাখার একটি টিম অভিযানটি সমন্বয় করে।