প্রভাবশালী হয়ে ওঠেছে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তবে এই মাধ্যমটি ব্যবহারে যতটুকু ‘ম্যাচ্যুরিটি’ ব্যবহারকারীদের থাকা দরকার তা অধিকাংশেরই নেই, তাই- এ গণমাধ্যমটি অপব্যবহার বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহুমিদুল হকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বাংলাদেশের সিলেটে কিশোর রাজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো সোচ্চার মানুষ। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং এরপরই পুলিশ আরো তৎপর হয়ে ওঠে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা শুরু করে।
সৌদি আরবেও প্রবাসী বাংলাদেশীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযুক্ত সম্পর্কে জানতে পেরে তাকে সনাক্ত করেছিল। অপরদিকে নির্যাতনকারীরাও ঘটনাটি ভিডিও করেছিল ফেসবুকে প্রচারের উদ্দেশ্যে।
পুরো ঘটনাটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি বড় প্রভাব রয়েছে।
অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যথেষ্ট প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হওয়ার পর থেকে এক্সেস অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত হচ্ছে।’
ফাহমিদুল হক বলেন, ‘এইভাবে যুক্ত হওয়ার ফলে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনেরই ফল পাচ্ছি আমরা। আমার মনে হয় এ ধরনের মাধ্যম ব্যবহারের জন্য যে ধরনের ম্যাচুরিটি, মনমানসিকতা, রুচি থাকার কথা ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশের মধ্যে সেটা নেই। ফলে অনেক বেশি অপব্যবহার হচ্ছে।’
নেতিবাচক ঘটনার উদাহরণ হিসেবে রামুর ঘটনা উল্লেখ করেন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক।
তিনি বলেন, ‘এই মাধ্যমের অপব্যবহার সম্পর্কে আমাদের সবাইকেই সামাজিকভাবে সচেতন হওয়া দরকার। আমার মনে হয় সোশ্যাল মিডিয়া এডুকেশন ব্যবহারকারীদের মধ্যে সঠিকভাবে সমান মাত্রায় পৌঁছাচ্ছে না।’
রাজন হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে হক বলছিলেন, ‘যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা পৈশাচিক মনোভাব থেকে করেছে। কিন্তু সচেতন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কারণে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল আকারে ছড়িয়েছে ঘটনাটি।’
এখন সব কিছুই মিডিয়া সম্পর্কিত বলে মনে করেন ফাহমিদুল হক। তিনি জানান, এখন মূল মিডিয়ার বাইরেও সাধারণ মানুষের আপলোড করা ভিডিও নিউজ হয়ে যাচ্ছে। আর চাঞ্চল্যকর হলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে মূল মিডিয়াগুলো প্রতিনিয়ত সামাজিক মাধ্যমগুলো অনুসরণ করছে।’