সরকার চলতি অর্থবছর শেষে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে প্রাক্কলন করেছে তা ‘অসত্য ও বানোয়াট’ বলে দাবি করেছে বিএনপি।
সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, রোববার সরকারের তরফ থেকে প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে, সেটি বর্তমান শাসকগোষ্ঠির মিথ্যাচারের একটি অংশ যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
রিজভী বলেন, এমন মন ভোলানো কোনো পরিসংখ্যানে দেশের মানুষকে বিশ্বাস করানো যাবে না। এই ধরনের অসত্য পরিসংখ্যান দিয়ে জনগণের সমর্থন পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, এই মিথ্যা পরিসংখ্যানের ফুলঝুরি দিয়ে সরকার জেনে-শুনে বিষপান করছে। অসত্য ও বানোয়াট তথ্যের কারণে জনগণ আরও তীব্রভাবে তাদেরকে প্রত্যাখান করবে।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমানে আর্থিক খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ শূন্যের কোঠায়। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। রূফতানি আয়েও দুরাবস্থা। বিনিয়োগ পরিবেশ না থাকায় পোশাক রফতানি খাত অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে লুটপাটের কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়ার খবরে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এরকম অবস্থায় প্রবৃদ্ধির এই পরিসংখ্যানের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।
অ্যাটর্নি জেনারেলের অপসারণ হওয়া উচিত
অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট না করে সরকারের আরো সময় চাওয়ারও সমালোচনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, সোমবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছেন- সরকারপক্ষের গেজেট প্রকাশে ফের সময়ের আবেদনে লজ্জিত হয়েছে আপিল বিভাগ। সরকার লজ্জিত না হলেও এই লজ্জার সারা জাতির।
অ্যাটর্নি জেনারেলের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, উনি স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি এক হুমকি। নিশ্চয়ই এই ধরনের অ্যাটর্নি জেনারেলের অপসারিত হওয়া উচিত।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শামা ওবায়েদ, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।