বৃহত্তর টরন্টো প্রবাসী বাংলাদেশি-কানাডিয়ানদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এখন পূরণ হবার পথে। গত কয়েক বছর ধরে এই শহরের প্রবাসীদের দাবি ছিল এখানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি কনসুল্যাট অফিস চালু করা হোক। এতোদিন এই স্বপ্ন আলোর মুখ না দেখলেও এখন সেটা বাস্তবায়নের পথে। আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্যে কাজ করেছে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব কানাডা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ এসেছিলেন টরন্টোতে। তিনি এই সময় বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব কানাডার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এ বিষয়টি মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব কানাডার সভাপতি সুবীর দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় টরন্টোতে কনসুল্যাট অফিস প্রতিষ্ঠার অগ্রগতি ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
চেম্বারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ মোতালেব খোকন, সদস্য জাফর ওসমান, আনোয়ার রশীদ, ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলী খোকন, জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ হাসান, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আশরাফুল বারী মঞ্জু ও সদস্য শহিদুল ইসলাম মিন্টু। অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কনস্যুলার ইশরাত জাহান আহমেদ।
চেম্বার সভাপতি সুবীর দে প্রারম্ভিক বক্তৃতায় কানাডার বাংলাদেশি পণ্য আমদানি ও বিপণনের নানা সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং চেম্বারের বিগতদিনের কার্যক্রম তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, টরন্টোতে কনসুল্যাট অফিস হলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ও প্রাণের সঞ্চার হবে। পাশাপাশি গ্রেটার টরন্টোতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অর্থ-সময় সাশ্রয় হবে। কারণ টরন্টোর কনসুল্যাট অফিস থেকেই সকল সেবা পাওয়া যাবে। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি মাননীয় অর্থ-সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনস্যুলার ইশরাত জাহান আহমেদ প্রস্তাবিত কনসুল্যাট অফিসের কাঠামো, এটির বাস্তবায়নে অটোয়াস্থ হাইকমিশনের আন্তরিকতা-নিরলস চেষ্টার বিশদ ব্যাখ্যা দেন।
মাননীয় অর্থ-সচিব মাহবুব আহমেদ সর্বশেষ বক্তব্য রাখেন। তিনি নিজেও টরন্টোতে একটি কনসুল্যাট অফিস প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সরকারের দীর্ঘদিনের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশের অনেক বড় সম্পদ। তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেবার জন্যে সরকার বদ্ধ পরিকর। তাই তিনি অতিদ্রুত টরন্টোতে কনসুল্যাট অফিস স্থাপনের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি আরো বলেন, এই প্রস্তাবনা এখন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত কনসুল্যাট অফিস সকল ধরনের কনস্যুলার সেবা প্রদান করবে। পাশাপাশি বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করবে।