তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দির মর্যাদা দিতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি এই আদেশ দেয়া হয়। এদিকে শহিদুলের মুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের ভূমিকা জানতে চেয়েছেন সে দেশের এমপি রূপা হক। মঙ্গলবার হাউস অব কমন্সের নিয়মিত অধিবেশনে তিনি এ ব্যাপারে জানতে চান।
ঢাকায় শহিদুল আলমের স্ত্রীর করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শহিদুলকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দির মর্যাদা দিতে আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
আদালত থেকে বের হয়ে সারা হোসেন বলেন, শহিদুল আলমকে জেলখানায় ডিভিশন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সামাজিক অবস্থান ও শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে তাকে ডিভিশন দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।
কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ওই আদালতও একই আদেশ দেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাকে জামিনও দেয়া হয়নি। এই কারণে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।