জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন তারা এমন একটি গ্যালাক্সি আবিষ্কার করেছেন যা মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রথম দিকের তারকাপুঞ্জ।
আধুনিক সময়ের নক্ষত্র যেমন সূর্যের উপাদান অনেক ভারি বস্তুর মিশ্রণ বা শঙ্কর যাকে আমরা ধাতু বলি, কিন্তু বিগব্যাং এর পরপর মহাবিশ্বের উপাদান ছিল শুধু হাইড্রোজেন, হিলিয়াম আর সামান্য লিথিয়াম। এই তিন উপাদানই সেসময় দানব আকৃতির নক্ষত্রগুলো তৈরি করেছে।
এসব নক্ষত্র ছিল সূর্যের চেয়ে কয়েকশ বা কয়েক হাজার গুণ ভর বিশিষ্ট। ফলে এগুলো দ্রুত তাদের জ্বালানি শেষ করে ফেলেছে, আর এ কারণেই উজ্জ্বলতাও ছিল বেশি। হিসাব কষে বলা যায়, মহাবিশ্ব সৃষ্টির ২০০ মিলিয়ন বছরের মধ্যে এ ধরনের নক্ষত্রগুলোর মৃত্যু ঘটেছে। এসব নক্ষত্রের বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট চেইন থার্মোনিউক্লিয়ার রিয়েকশন শুরু হয় যা পরবর্তী প্রজন্মের নক্ষত্র সৃষ্টি করে। আর ক্রমেই মহাবিশ্ব অক্সিজেন, কার্বন এবং লোহার মতো প্রাথমিক উপাদানে সমৃদ্ধ হতে থাকে।
নতুন আবিষ্কৃত তারকারাজি সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, মহাবিশ্বের বয়স যখন ৮০০ মিলিয়ন বছর তখন এটির অস্তিত্ব ছিল। পৃথিবী থেকে গ্যালাক্সিটির দূরত্ব ১২.৯ বিলিয়ন আলোকবর্ষ। অর্থাৎ তারকাটি থেকে বিকিরিত প্রথম আলোক তরঙ্গ পৃথিবীতে আসতে এতো দূরত্ব অতিক্রম করেছে।
নতুন গ্যালাক্সি নিয়ে সম্প্রতি অ্যাসট্রোফিজিক্যাল জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী দলের অন্যতম সদস্য ড. ডেভিড সেব্রেল। যিনি পর্তুগালের ইউনিভার্সিটি অব লিসবন এবং নেদারল্যান্ডের অবসারভেটরি সেন্টারে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করছেন।
এ গ্যালাক্সির নাম দেয়া হয়েছে সিআর৭ (CR7)। যদিও এটি এর লাল বিচ্যুতির কোড নাম। তবে ড. সোব্রাই জানান, পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রেনোলদোর নামে অনুপ্রাণিত হয়েই এমন নামকরণ।ওই বয়সী গ্যালাক্সিগুলোর মধ্যে এটি তিনগুণ উজ্জ্বল। এর নীল মেঘ বিশিষ্ট গ্যালাক্সিটি শুধু হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম গ্যাসে পূর্ণ।
গ্যালাক্সিটি খুঁজতে খুব বড় ধরনের একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হয়েছে। টেলিস্কোপটি বসানো হয়েছিল চিলির সাউদার্ন অবসারভেটরি সেন্টার এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের ডব্লিউ. এমকে. কিক অবজারভেটরি সেন্টারে।
তবে গ্যালাক্সিটি এখন সক্রিয় কি না তা নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সংশয় প্রকাশ করেছেন। কেননা, যে আলোটি শনাক্ত করা হয়েছে তা ১২.৯ বিলিয়ন বছর আগে গ্যালাক্সিটি থেকে বিকিরিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন তখনকার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপর গত ২০১৩ ও ২০১৪ সালে টানা দুবার ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের অ্যাওয়ার্ড ব্যালন ডি’অর জয় করেন তিনি। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে ৬১ গোলে করে ২০১৫ সালের ব্যালন ডি’অর অ্যাওয়ার্ডের জন্য মেসিকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলবেন এই পর্তুগিজ সুপারস্টার।