ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে বন্দুকধারীর গুলিতে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। আহত হন দুজন। পুলিশ বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী নিহত হয়েছেন। হামলার ঘটনাকে কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ। ওঁলাদ বলেছেন, এই হামলা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে তাঁর কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। পুলিশও বলছে, এটা সন্ত্রাসী হামলা বলে তারা সন্দেহ করছে। হামলার পর আইএস দাবি করে, তাদের এক যোদ্ধা প্যারিসে হামলা চালিয়েছে।
ফরাসি প্রসিকিউটর ফ্রাঁসোয়া ময়াঁ বলেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় তার সঙ্গে আর কেউ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। হামলার পর ঘটনাস্থল দ্য চ্যাম্পস এলিসি বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থলের আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দেয়। সবাইকে সরে যেতে বলা হয়। ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুদিন আগে প্যারিসে হামলার ঘটনা ঘটল। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে ফ্রান্স। এসব হামলায় দুই শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। দেশটি বর্তমানে জরুরি অবস্থার মধ্যে আছে।
এদিকে ফ্রান্সে নির্বাচন সামনে রেখে ইসলামি জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে রাজনীতির আলোচনায়। ২০১৫ সাল থেকে ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৩৮ জন। আগামী রবিবার অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েকজন প্রার্থী শঁজেলিজের ওই হামলায় নিহত পুলিশের সদস্যের প্রতি সম্মান দেখাতে আগেই প্রচারাভিযান শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন। মধ্য-ডানপন্থি নেতা ফ্রঁসোয়া ফিয়ঁ অন্য প্রার্থীদেরও একই পরামর্শ দিয়েছেন।