রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি পার্লামেন্ট ডিপ্লোমেসির সুযোগ গ্রহণের জন্য কমনওয়েলথ সম্মেলন (সিপিসি) একটি ভালো ক্ষেত্র। এ সুযোগটি বাংলাদেশ গ্রহণ করতে চায়।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ শুক্রবার সিপিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর রেডিসন ব্লুতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকারের সঙ্গে সরকারের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হচ্ছে। তবে যখনই কোন প্লাটফর্মে বা ফোরামে সংসদ সদস্যরা একত্রিত হন, সেখানে পার্লামেন্টারিয়ান ডিপ্লোমেসি বলে একটা বিষয় থাকে। পার্লামেন্টারিয়ানরা তাদের দেশে ফিরে গিয়ে নিজ দেশের সংসদে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন, সরকারের সাথেও কথা বলতে পারেন, আবার আন্তর্জাতিক যেকোন ফোরামেও এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন। সে কারণে পার্লামেন্ট ডিপ্লোমেসির সুযোগ গ্রহণের জন্য এটা একটা ভালো ক্ষেত্র। যেখানে আমরা আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের সংসদ সদস্য, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারদের কাছে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবহিত করতে পারি।’
ড. শিরীন বলেন, কমনওয়েলথ সম্মেলনের বাংলাদেশ স্বাগতিক দেশ। সিপিএ’ সচিবালয়ের সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশ এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশেরই নয় আন্তর্জাতিকভাবেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই কারণে এটার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারিয়ানদের অনেকের জানার আগ্রহের কারণে এই সম্মেলনে একটি ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।