Home Hot News Today পহেলা বৈশাখ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা : ডিএমপি কমিশনার

পহেলা বৈশাখ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা : ডিএমপি কমিশনার

0

পহেলা বৈশাখ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনও হুমকি নেই। নেই নিরাপত্তা শঙ্কাও। পহেলা বৈশাখে মোটরসাইকেলে ডাবলিং করা যাবে না। তবে স্ত্রী-সন্তান থাকলে সমস্যা নেই। অনুষ্ঠানে কোনও দাহ্য পদার্থ, দিয়াশলাই, গ্যাস লাইট, ব্যাগ, চুরি, চাকু আনা যাবে না। নিষিদ্ধ থাকবে ভুভুজেলা। নগরীর প্রত্যেক অনুষ্ঠানস্থল ধুমপানমূক্ত থাকবে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে পহেলা বৈশাখের উৎসবকে আরো উৎসবমূখর পরিবেশে পালন করতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। তবে নিরাপত্তার খাতিরে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ঘিরে সোয়াত, পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা থাকবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা এবার আরও বাড়ানো হয়েছে।

চারুকলা থেকে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রায় রাস্তা থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যারা শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আগ্রহী তারা চারুকলায় যাবে। শুরু থেকেই থাকতে হবে। শোভাযাত্রার আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনার ছাদে ও ভবনের ছাদে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। থাকবে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।

রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কয়েক স্তরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১১ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। থাকবে ওয়াচ টাওয়ার ও আর্চওয়ে। ইউনিফর্ম পরা পুলিশের পাশাপাশি থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা থাকবে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। শোভাযাত্রা যে এলাকায় হবে সেই রুটেও সিসি ক্যামেরা থাকবে। শোভাযাত্রায় কোনও মুখোশ পরা যাবে না। তবে হাতে নেওয়া যাবে।

রমনা পার্ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও হকার ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ অন্যান্য এলাকার মেলাতে হকার থাকবে। ছিনতাই, ইভটিজিং রোধে আলাদা টিম থাকবে। ২০১৫ সালের ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এবারও ঘটবে না। কারণ মূল সমস্যাটা হতো প্রবেশমুখে, সেটা আমরা আলাদা করে দিয়েছি। পুলিশের পক্ষ থেকে উৎসবে আগত ব্যক্তিদের ফুল, পানি ও বাতাসা বিতরণ করা হবে।

ডিএমপি প্রধান বলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনও বহিরাগতকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ছাড়া কোনও গাড়ি প্রবেশ করবে না। উন্মুক্ত স্থানে বিকাল ৫টার পর কোনও সমাবেশ করা যাবে না। এরমধ্যে সব আয়োজন শেষ করতে হবে। তবে ইনডোরে কর্তৃপক্ষে অনুমতি সাপেক্ষে অনুষ্ঠান করা যাবে।