দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায় আদালতের বিষয় হওয়ায় তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইপি) প্রতিনিধিদল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিকে বেশ জটিল ও কঠিন উল্লেখ করে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে আগামী নির্বাচন নিয়ে মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ইপি প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে বিদ্যমান আইনেই সবার অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে তাঁরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গত সোমবার থেকে বাংলাদেশ সফর শেষে গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কবিষয়ক প্রতিনিধিদলের চেয়ারপারসন জিন ল্যাম্বার্ট এ কথা জানান। বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান ও রাষ্ট্রদূত রেঞ্চে তিয়ারিংকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল—আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে, অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে কারাগারে গেছেন; বিএনপি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলন করছে। এমন পরিস্থিতি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কিভাবে দেখছে? জবাবে জিন ল্যাম্বার্ট বলেন, ‘পরিস্থিতি কঠিন। এটি আদালতের বিষয়। আমরা আদালতের মামলা ও রায় নিয়ে মন্তব্য করি না। নিঃসন্দেহে এটি দলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি, রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে মনোযোগী হওয়াও তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

জিন ল্যাম্বার্ট বলেন, সমবেত হওয়া, প্রচারণা চালানোর মতো চ্যালেঞ্জ আছে। ইপি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টি তুলেছে। আগামী দিনেও তারা এটি অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, ইইউ আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি বাংলাদেশের কাছে তুলেছে। তবে ইইউ এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

ল্যাম্বার্ট আরো বলেন, ‘বিদ্যমান আইনে সব দলের কাছে সুষ্ঠু হয়, এমন নির্বাচন আয়োজন করাও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতিকে স্বাগত জানালেও প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে ল্যাম্বার্ট বলেন, সফরের পর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রস্তাব আনা হতে পারে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধসহ অন্যান্য করণীয় তাঁদের বিবেচনায় আছে।