চীনের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, দেশটি শিগগিরই দক্ষিণ চীন সাগরের দাবিকৃত বিতর্কিত অংশ পুনরুদ্ধারের প্রকল্পে হাত দিতে যাচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ অপরাপর দেশগুলোর এ দাবি আরও জোরালো হয়েছে যে, চীন সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের স্বার্থে দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে।
চীনের পক্ষ থেকেও কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির বিষয়টিতে এখন আর লুকোছাপা কিছু নেই। তবে সামরিক ঘাঁটি পরিপালনের উদ্দেশ্যই এখানে মূখ্য কিনা, সে বিষয়ে জানিয়েছে চীনা প্রশাসন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী প্রতিরক্ষা একটি ইস্যু বটে এক্ষেত্রে, তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও জড়িত, যেমন সামুদ্রিক উদ্ধার ও খনিজ অভিযান, ত্রাণ সরবরাহ ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা।
তবে এ কদরে দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় সমগ্রটাই যখন দাবি করে বসছে চীন, তখনই ঐ অঞ্চলসমূহে বিসংবাদ কড়া নাড়ছে বলে প্রতীয়মান হয়। ঐ সাগরে জেগে ওঠা ভূ-ভাগ নিয়ে বিতর্ক উপেক্ষা করে চীন গিত বছর থেকে অধীগ্রহণে তৎপর হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে কিছুটা দমিতও হয়। চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টত চীনকে এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত স্থগিত করারা আহ্বান জানায়। কিন্তু চীন সরকার তাতে কর্ণপাত করার দায় দেখাবে বলে মনে করছেন না সংশ্লিষ্টরা।
কেননা সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ স্পার্টলির নিকটবর্তী অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীল টলহদার দলের সঙ্গে চীনা টহলদার নৌসেনাদের একাধিক বাতবিতণ্ডায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টতই চীন সাগর ইস্যুত এশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে ঢুকে পড়তে চাইছে।