আগামী বছর বা বছর দেড়েকের মধ্যে নব্য জেএমবির কার্যক্রম আর চোখে পড়বে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের ভেতর অব্যাহত জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান এবং ইরাক ও সিরিয়ায় কোণঠাসা হয়ে পড়ায়, নব্য জেএমবির সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে কাউন্টার টেররিজম কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মনিরুল ইসলাম। সেখানেই তিনি এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এখনো জঙ্গিদের বেশ কিছু আস্তানা রয়ে গেছে। এই আস্তানাগুলোয় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আত্মঘাতী হামলার ঘটনা কেন ঘটছে, এমন প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য আত্মঘাতী হয় তখনই যখন তাদের আর অন্য কোনো উপায় থাকে না। বাংলাদেশের জঙ্গিদের হালও এখন এ রকমই।
গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, এই হামলার পরিকল্পনা কবে হয়েছে, কারা কারা তাতে যুক্ত ছিল, অর্থের জোগান এসেছে কোথা থেকে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিটি তথ্যের পেছনে সুস্পষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ আছে। আসামি জাহাঙ্গীর আলমসহ কারও কারও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি এবং গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনার বিশ্লেষণ থেকে পুলিশের কাছে এখন হলি আর্টিজানে হামলার পরিষ্কার তথ্য আছে। বছরের শেষ নাগাদ অভিযোগপত্র দেওয়া হতে পারে। তবে, ওই হামলায় জড়িত কেউ কেউ এখনো গ্রেপ্তার হননি। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তবে কতজন পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে আছে এমন প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব দেননি তিনি।