চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের নৌবাহিনী দুটি সাবমেরিন হাতে পাওয়ার মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে নতুন করে ঝালিয়ে নিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর এ মাসের শেষে বাংলাদেশ সফরে যাবেন। বহু বছরের মধ্যে এটাই হবে কোনও ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে একটা নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে গত বেশ কিছুদিন ধরেই। ঠিক এই মুহূর্তেই বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে চলছে দু’দেশের সেনাবাহিনীর যৌথ সামরিক মহড়া বা ‘সম্প্রীতি ২০১৬’– যার আওতায় একসঙ্গে জঙ্গী-বিরোধী তৎপরতার তালিম নিচ্ছে দু’দেশের সেনারা। পাশাপাশি ভারতীয় নৌবাহিনীর ‘ফার্স্ট ট্রেনিং স্কোয়াড্রন’ ও দিনকয়েক আগেই ভিড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে– যাতে আছে রণতরী আইএনএস তীর ও সুজাতা, আর উপকূলরক্ষী বাহিনী বা কোস্টগার্ডের জাহাজ বরুণা।
ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি সূত্র বলেন, ”আপাতত স্থির হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর এ মাসের শেষে, ৩০ নভেম্বর নাগাদ বাংলাদেশে যাবেন। তার সফরটা হবে দু’দিনের– আর সেই সফরে ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে একটা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্যই চেষ্টা করা হবে।”
‘নতুন উচ্চতা’ বলতে বাংলাদেশকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, প্রশিক্ষণ, আরও বেশি সংখ্যায় যৌথ মহড়া আয়োজন বা জঙ্গী-দমনে সহযোগিতার নানা বিষয়ই থাকছে। মনোহর পারিক্করের বাংলাদেশ সফরেই এই বিষয়গুলোর রূপরেখা চূড়ান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, আর ডিসেম্বরে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরে আসবেন তখন দু’দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হবে সেই সব প্রতিরক্ষা চুক্তি – আপাতত পরিকল্পনা এটাই।