জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ৯ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এই দিন ধার্য করেন। আদালতে এ দুই মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন করেন। এতে বলা হয়, এ মামলার একটি আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আবেদন করেছেন, যা শুনানির অপেক্ষায় আছে। তাই সময় আবশ্যক। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৯ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।