তিন নেতার কারণে ভরাডুবি

0
378

স্থানীয় তিন প্রভাবশালী নেতার অসহযোগিতার কারণে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) মেয়র নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, তিন নেতা দলীয় মেয়র প্রার্থীকে সহযোগিতা করেননি। ফলে তাদের কেন্দ্রেই ধানের শীষের প্রার্থী নৌকার কাছে পরাজিত হয়েছেন।

নেতারা মেয়র বাদ দিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ভাই ও সন্তানের কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে। ফলে ওই এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীরা মেয়রের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। স্থানীয় নেতারা বলেন, নিজেদের স্বার্থেই তিন নেতার কেউ দলীয় মেয়র প্রার্থীর জন্য সময় ব্যয় করেননি। তারা চান না নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নতুন কোনো নেতা বেরিয়ে আসুক। তারা দলের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। ফলে বিএনপির প্রার্থী দ্বিগুণেরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছে

নাসিক নির্বাচনে বিএনপির পরাজয়ের কারণ জানতে চাইলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ফলাফল নিয়ে কাজ চলছে। এ ধরনের ফলের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা দায়ী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দলের কোনো নেতা যদি পরাজয়ের কারণ হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেন, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নাসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী নিজের ভাই ও যুবদল নেতা মাসুদুল আলম খন্দকারের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তার পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়েছেন। ফলে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ১০,২২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। কিন্তু মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন মাত্র ৫,৯৭৭ ভোট। এ প্রসঙ্গে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, প্রার্থীর জয়ের জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। তবু ভোট কম হল কেন, তা খতিয়ে দেখা হবে।

সাবেক এমপি আবুল কালাম ব্যস্ত ছিলেন তার ছেলে ছাত্রদল নেতা আবুল কাউসার আশাকে কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে। ছেলে আশা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এ ওয়ার্ডে (বন্দরের ২৩নং ওয়ার্ড) আবুল কাউসার আশা ৪১০৫ ভোট পেলেও মেয়র পদে সাখাওয়াত পেয়েছেন ৩৮০০ ভোট।

এসব প্রসঙ্গে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমাদের প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল ছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অপরিচিত প্রার্থীকে মানুষ ভোট দিতে চান না। তাই সে কম ভোট পেয়েছে। নিজের নির্লিপ্ততার অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, সকাল থেকে আমি আমার দায়িত্বরত শহর এলাকাতে কাজ করেছি। আমার সব নেতাকর্মী প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে কাজ করছে। আমি এক বিন্দুও অলসতা দেখাইনি।