ডিসেম্বর থেকে  ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে বাংলাদেশ

0
459

ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই তা চালু হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট জগতের ১১৯তম দেশ। এই প্রক্রিয়ায় ঘরে বসেই ইন্টারনেটে আবেদন করে অল্প সময়ের ব্যবধানে নির্ভুল পাসপোর্ট পাওয়া সম্ভব হবে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে ই-পাসপোর্ট ও অটোমেটেড বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনাবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান ও জার্মানির ভেরিডোস কম্পানির সিইও কুনস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানি সফরের সময় ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালুর বিষয়ে জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেরিডোস জেএমবিএইচের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল চুক্তি স্বাক্ষর হলো।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। জার্মানির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নেইলস অ্যানেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জিটুজি ভিত্তিতে টার্নকি পদ্ধতিতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। ই-পাসপোর্ট সম্পূর্ণভাবে চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) চালু থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী ডিসেম্বর থেকে  ই-পাসপোর্ট চালু হতে পারে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনা আরো নির্ভুল, সহজতর, সময়সাশ্রয়ী ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে বিশ্বের ১১৮টি দেশ এরই মধ্যে ই-পাসপোর্ট এনেছে। বাংলাদেশ ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট যুগে ঢুকছে। ই-পাসপোর্টের সব তথ্য, স্বাক্ষর, ছবি, চোখের কর্নিয়া ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিল্ড অবস্থায় সুরক্ষিত থাকার কারণে তা জাল করা সম্ভব হয় না।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে বয়সভেদে ৫ ও ১০ বছর। এতে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। এমআরপি ডাটা বেইসে যেসব তথ্য আছে তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।